News update
  • Rivers Keep Swallowing Land as Bangladesh Battles Erosion     |     
  • UN Warns Refugees Caught in Climate–Conflict Cycle     |     
  • Mohammadpur Sub-Jail in Magura lies abandoned     |     
  • BD trade unions demand 10-point climate action ahead of COP30     |     
  • Bangladesh criticises Rajnath remarks on Yunus     |     

সংসদ ভেঙে দিয়ে ৯০ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উদ্যোগ নিন- গণতন্ত্র মঞ্চ

২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর দুই দিনব্যাপী গণসংযোগ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা

রাজনীতি 2023-12-24, 11:29pm

ganatantra-manch-brought-out-a-procession-in-the-capital-on-sunday-a4d74c5fd63fa15d6f9e313b2391a2e11703438960.png

Ganatantra Manch brought out a procession in the capital on Sunday.



২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, রবিবার বেলা ১২টায় ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ এই আহবান নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগপূর্ব সমাবেশ অনুষ্ঠান হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। সমাবেশে ব্ক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়ক ইমরান ইমন ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিম। সভা পরিচালনা করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দীন পাটোয়ারী। সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেক রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, নাগরিক ঐক্যের দপ্তর সম্পাদক মুহিদুজ্জামান মুহিত, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য এড. রায়হান কবীর প্রমুখ। 

সমাবেশ শেষে একটি মিছিল প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে পুরানা পল্টন, বিজয়নগর হয়ে কাকরাইল মোড়ে যেয়ে শেষ হয়। এসময় পথচারিদের মধ্যে প্রচারপত্র বিলি করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে একতরফা নির্বাচন করার জন্য নির্বাচনের আগেই সন্ত্রাস করে, ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে, হাজার হাজার বিরোধীদলীয় নেতা কর্মীকে করাগারে বন্দী করেছে । এরপর নিজেদের মধ্যেই খেলা আয়োজন করেছে। আমরা আর মামুদের এই খেলাতেও আওয়ামীলীগ সন্ত্রাস ঠেকাতে পারছে না। নিজেদের মধ্যেই মারামারি করছে, কুপিয়ে হত্যা করছে। ইতিমধ্যে ৪৮টি স্থানে সহিংসতায় ২ জন মারা গেছে। আর ৭ তারিখ আসতে আর কত রক্তক্ষয় হবে তা বলা মুশকিল। তাহলে বিরোধীদল মাঠে থাকলে কি পরিস্থিতি হতো সেটা সহজেই অনুমেয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এই একতরফা তামাশার পাতানো নির্বাচন দেশের জন্য বিপদজনক ভবিষ্যৎ ডেকে আনছে। তারপরও সরকার এই পাতানো নির্বাচন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১৫ বছরে শুধুমাত্র আমদানি রপ্তানির ভেতর দিয়ে ১২ থেকে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। উন্নয়ন প্রকল্প যা হয়েছে তার প্রায় বিরাট অংশ লুট হয়ে গেছে। সিপিডির দেয়া তথ্য অনুযায়ী এদেশের ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু লুট হয়ে গেছে। আর খেলাপি ঋণের পরিমান অন্ততপক্ষে ২ লক্ষ কোটি টাকা। এই লুটপাটতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্যই তারা এভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়। এই লুটতন্ত্র বন্ধ করতে হলে ৭ তারিখের তামাশার ভোট বন্ধ করতে হবে। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, ৭ তারিখে যদি নির্বাচন হয় তার ফলাফল কি হবে তা সাবার জানা, প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তাও সকলের জানা। বিরোধী দল কে হবে তাও সবাই আগাম জানেন। তাহলে এই নির্বাচেনের দরকারটা কি? দেড় থেকে ২ হাজার কোটি টাকা কেন খরচ করা? এটা অপচয়। রাষ্ট্রীয় পয়সা অবচয় করা পরিষ্কার অপরাধ। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, এখনো সময় আছে, অবিলম্বে এই একতরফা নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ করে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উদ্যোগ নিন। এবং সংবিধানের ১২৩ (৩)এর (খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন । নতুবা গণ আন্দোলনের মুখেই সরকারকে বিদায় নিতে হবে। অন্যথায় অতীতের স্বৈরাচারীদের পরিণতি এই সরকারকেও বরণ করতে হবে।

পরবর্তী কর্মসূচি: ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, মঙ্গল ও বুধবার ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচারপত্র বিতরণ, গণসংযোগ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি