News update
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     

জলদি করে শপথ নিলেই জনগণ এই সরকার মেনে নেবে না -গণতন্ত্র মঞ্চ

প্রহসনের ডামি নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে

রাজনীতি 2024-01-12, 11:30pm

ganatantra-manch-brought-out-a-procession-after-holding-a-rally-in-front-of-the-national-press-club-on-friday-12-jan-2024-b464dd6d4f023a08d352e3bbf89b51081705080610.jpeg

Ganatantra Manch brought out a procession after holding a rally in front of the National Press Club on Friday 12 Jan 2024.



অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিতে হবে। ৭ জানুয়ারির প্রহসনের ডামি নির্বাচন বাতিল করে অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে আজ বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি'র সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব। সভা পরিচালনা করেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লা কায়সার।

সমাবেশে বক্তারা বলেন - ভোট কেন্দ্রগুলো ছিল বিরান ভূমি। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এই ভোট বর্জন করেছে। ৫/৭ শতাংশ ভোট করেছে কিনা সন্দেহ। সিইসি ঘুমিয়ে পরেছিলেন। তাকে জাগিয়ে ৪১ শতাংশ ভোটের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। যে দলগুলো নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তারা নিজেরাই সাক্ষ্য দিচ্ছে ৭ তারিখে কোন নির্বাচন হয়নি। সরকারি দলের জোট সঙ্গীরা, এমনকি তাদের নিজেদের কেন্দ্রীয় লোকেরাই এখন সাক্ষ্য দিচ্ছে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি করে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের লোকেরাও বেকুব হয়ে গেছে। ভোট দিলাম না কিন্তু এতো ভোট পরলো কখন। ফলে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের মানুষ বলছে ডামি লীগ। কেউ কেউ বলছেন তামাশা লীগ। মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে তারা ৩ বার তামাশা করেছে। তারা বলেন, ৭ তারিখের নির্বাচনের ভেতর দিয়ে বাস্তবত দ্বিতীয় বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের মানুষ এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে, গণতান্ত্রিক বিশ্বও এই নির্বাচনকে গ্রহণ করে নাই। সেই ভয়ে এতো জলদি করে এমপিরা শপথ নিলো, মন্ত্রীরা শপথ নিলো। তাদের ভয় কখন গনেশ উল্টে যায়। কিন্তু এই শপথ নেয়ায় কিংবা দ্রুত সরকার গঠনে কাজ হবে না। তারা বলেন, ৭ তারিখ মানুষ ভোট বর্জন করে নৈতিক যে শক্তি দেখিয়েছে, এটা গণতন্ত্রের শক্তি, মানবিক মর্যাদার শক্তি, ন্যায় বিচারের শক্তি। এটা নতুন গণপ্রতিরোধের সূচনা। এর ওপর দাঁড়িয়েই চলমান আন্দোলন নতুন শক্তিতে বলিয়ান হবে।জনগণের আন্দোলনের মুখেই এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকারের সিন্ডিকেট হাজার কোটি টাকা লুট করে এখন দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বাংলাদেশে দুর্বৃত্তের সংজ্ঞা বদলে গেছে। এরা ভোট চুরি করে, টাকা পাচার করে, ব্যাংক লুট করে। এদের সিন্ডিকেটের রাজত্বের ফলে শপথ নেয়ার সাথে সাথেই বাজারে চাল-ডাল পেঁয়াজ সহ সকল জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়া শুরু হয়েছে। জনগণ এই দৌরাত্ম্য মেনে নিবে না। অচিরেই নতুন গণশক্তি রাজপথে অবস্থান নেবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, লড়াই করেই নিজেদের পাওনা কড়ায় গন্ডায় আদায় করে নিতে হবে। কোন শক্তি ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের লড়াইকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। চলমান আন্দোলনকে আরো শক্তিশালী করে সরকারকে বিদায় করেই ঘরে ফিরতে হবে।

নেতৃবৃন্দ দাবি করেন সংসদ ভেঙে দিয়ে সকল দলের সাথে আলোচনা করে নতুন করে ভোটের আয়োজন করতে হবে। ইতিমধ্যে রাজপথের ঐক্য গড়ে উঠেছে। যারা নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রতারিত হয়েছেন তাদেরকেও জনগণের কাতারে আসতে হবে। জনগণের সম্মিলিত শক্তিতে এই সরকারের মসনদ ভেঙে পড়বে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি'র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাক্কারুল ইসলাম নবাব, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কের পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি