Pir Shaheb of Charmonai Mufti Muhammad Rezaul Karim.
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন চরম দুর্বিষহ করে তুলেছে। চাল-ডাল, আটা, চিনি, ভোজ্য তেল, শিশু খাদ্য ও শাক সব্জির মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ আজ দিশেহারা। নিয়ন্ত্রণহীন সিন্ডিকেট গোষ্ঠী। বাজার দর বৃদ্ধিতে মানুষ অনেক কষ্টে জীবন-যাপন করছে।
আজ শনিবার এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করছে একদল মুনাফাখোর। বয়লার মুরগি, চাল, ডাল ভোজ্য তেলসহ দ্রব্যমূল্যের আকাশচুম্বীতে জনমনে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকলে অল্প, মধ্য আয়ের মানুষের দুঃখ দুর্দশার কুল-কিনারা থাকবে না।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিকভাবে দেশের মানুষ বিপর্যস্ত। তারপর প্রহসনের নির্বাচনের বৈতরণী পার হবার পর সিন্ডিকেট গোষ্ঠী জিনিসপত্রের আরেক দফা মূল্যবৃদ্ধি করে জনগণকে ভয়াবহ কষ্টে ঠেলে দিয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়িয়ে তুলছে। তাই কঠোর হস্তে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে কালোবাজারীদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, চালের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এবার বেড়েছে আটার দাম। প্রতিকেজি আটা ৫০ টাকা। দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বাদ যায়নি মসুর ডাল, ডিম, মাছ ও মাংসের দামও। এক কথায় অস্থির হয়ে উঠেছে নিত্যপণ্যের বাজার।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর আরও বলেন, ডামি নির্বাচনের নাম দেশের প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে সরকার। এত টাকা ব্যয়ে যে নিবৃাচন জাতিকে উপহার দিয়েছে, জনগণ তা প্রত্যাখান করেছে। ডামি নির্বাচন ও ডামি মন্ত্রীসভা দিয়ে জনগণের দুখ-দুর্দশা লাঘব সম্ভব নয়। তাই জনগণের ভাসা বুঝতে ব্যর্থ হলে ইতিহাসের করুণ পরিণতির অপেক্ষা ছাড়া আর কী ই বা করার আছে। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি