News update
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     
  • IAEA Chief Calls for Renewed Commitment to Non-Proliferation     |     
  • UN Aid Chief Warns Humanitarian Work Faces Collapse     |     

ফখরুলকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে কারাগারে স্ত্রী-মেয়ে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2024-01-26, 1:52pm

images-7-20d9962a07bdd3fed81f7712da102f7b1706255724.jpeg




বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ৭৬তম জন্মদিন শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি)। ১৯৪৮ সালের এই দিনে ঠাকুরগাঁওয়ে জন্ম নেন বিএনপির এ নেতা। তার ৭৬তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে ও দেখা করতে কারাগারে গিয়েছেন স্ত্রী রাহাত আরা বেগম, মেয়ে শাফারু মির্জা সুমি এবং বোন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বলেন, প্রতি বছর মহাসচিবের জন্মদিনে প্রথম শুভেচ্ছা জানাতেন মেয়ে ডা. শামারুহ মির্জা। কিন্তু এবার তিনি কারাগারে থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। তার আগে এক জন্মদিনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেই জানিয়েছিলেন, তার প্রতিটি জন্মদিনে প্রথম শুভেচ্ছা জানান মেয়ে শামারুহ মির্জা।

শায়রুল কবির বলেন, এবার মহাসচিবের জন্মদিন কাটবে কেরানীগঞ্জের কারাগারে। তার সঙ্গে দেখা করতে আমেরিকা থেকে এসেছেন বোন। তাকে নিয়ে সকালে মহাসচিবের সঙ্গে দেখা করতে কেরানীগঞ্জে গেছেন ভাবি ও ছোট মেয়ে।

শায়রুল কবির জানান, ১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জন্মগ্রহণ করেন। ২০১৬ সালে বিএনপির মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। ২০১১ সালের মার্চে দলের মহাসচিব খন্দকার দেলওয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর তিনি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার আগে তিনি দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন।

গত বছর ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ হয়। এতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ বাঁধে। এক পর্যায়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছোড়া টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো নয়া পল্টন। ভণ্ডুল হয় বিএনপির সেই মহাসমাবেশ। পরদিন সকালে মির্জা ফখরুলকে গুলশানের বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ ডিবিতে নেয়। এরপর মহাসমাবেশে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে ভাঙচুরের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয় তাকে। সব মামলা থেকে জামিন মিললেও একটি মামলায় জামিন পাননি মির্জা ফখরুল।

১৯৪৮ সালের ২৫ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গের ঠাকুরগাঁও জেলায় জন্মগ্রহণ করেন দেশের প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ। বিরোধীদলীয় রাজনীতির কারণে তাকে কখনো কারাগারে আবার মাঠের নেতৃত্বে দেখা যায়।

দুই মেয়েকে নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রাহাত আরা বেগমের সংসার। বড় মেয়ে মির্জা শামারুহ অস্ট্রেলিয়ায় স্বামী-সন্তান নিয়ে আছেন। সেখানে সিডনির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরিয়াল ফেলোশিপ নিয়ে এখন ক্যানবেরার ফেডারেল মেডিকেল কাউন্সিলের সিনিয়র সাইন্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। আর ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ ঢাকার ধানমন্ডির ‘স্যানি ডেল’ স্কুলে শিক্ষকতা করেন।

ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ফখরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন শাখার সভাপতি এবং এসএম হল শাখার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। তিনি ঢাকা কলেজে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন।

১৯৮৬ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন মির্জা ফখরুল। ১৯৮৮ সালে ঠাকুরগাঁও পৌর সভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান হন।

মির্জা ফখরুলের বিএনপির রাজনীতির শুরুটা তৃণমূল থেকে। প্রথমে ১৯৯২ সালে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি দিয়ে শুরু করেন বিএনপির সঙ্গে পথচলা। পরে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে মির্জা ফখরুল সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, ২০১১ সাল থেকে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এবং ২০১৬ সালে ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব নির্বাচিত হন।

বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ে নেতৃত্বে আসার আগে তিনি জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের প্রথম সহসভাপতি এবং পরে সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন দীর্ঘদিন।

ঠাকুরগাঁও আসনে বিএনপি থেকে দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি এবং এবং প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে উপপ্রধানমন্ত্রী এস এ বারীর একান্ত সচিবও ছিলেন। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।