News update
  • Italian PM Giorgia Meloni to Visit Bangladesh on Aug 30-31     |     
  • BNP to Get 38.76% Votes, Jamaat 21.45%, NCP 15.84%     |     
  • Bangladesh’s Democratic Promise Hangs in the Balance     |     
  • World War III to start with simultaneous Xi, Putin invasions?      |     
  • Election delay anti-democratic, against July-August spirit      |     

বাজেটে দেশের সম্পদ লুটপাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে : মির্জা ফখরুল

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2024-06-09, 12:37am

erteryer-a5d9c5f6eca902d0a261ebb61728479e1717871892.jpg




বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের সম্পদ নতুন করে লুটপাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাজেট দেখলেই বোঝা যাবে, রাঘববোয়ালদের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শনিবার (৮ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-রব)। এসময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে সিরাজুল আলম খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মির্জা ফখরুল।

মাছ ধরার জন্য টোপ ব্যবহার করার বিষয়ে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বিএনপির এই নেতা বলেন,’

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামতের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, নতুন বাজেট দেশের ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই করবে না। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় সংকট। কারণ দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দাম তাদের জীবন অসহনীয় করে তুলেছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার বিধান রেখে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। বাজেটে কালো টাকা বৈধ করার সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কালো টাকা আগে বৈধ পথে আনতে হবে। তিনি বলেন, ‘নামমাত্র (ট্যাক্স) দিয়ে প্রথমে অর্থ একটি উপযুক্ত জায়গায় (ব্যাংকিং চ্যানেলে) আনতে হবে। তাহলে তাদের (কালো টাকার মালিকদের) নিয়মিত কর দিতে হবে। মাছ ধরতে হলে টোপ ব্যবহার করতে হবে।’

মাছ ধরতে টোপ ব্যবহার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য হাস্যকর মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল প্রশ্ন করেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে আপনি আর কতদিন মানুষকে ধোঁকা দিতে পারবেন?’

সিরাজুল আলমের মৃত্যুর পর শোকবার্তা না দেওয়ায় আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভেবে দেখুন, তারা কতটা অকৃতজ্ঞ হতে পারে। এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার মৃত্যুর পরও তারা কোনো শোক প্রকাশ করেনি। একই কারণে তারা জিয়াউর রহমানকে সহ্য করতে পারছে না।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ এক ভয়াবহ সংকটে পড়েছে, তার অস্তিত্বকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সরকার ক্ষমতা দখল করে দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ ও নিপীড়ন করছে এবং প্রতিনিয়ত দেশের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। আমরা বাংলাদেশের এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই।’

গণতন্ত্র ও ভোটদান এবং জনগণের হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনতে সব ভুল বোঝাবুঝি ও সিদ্ধান্ত পরিহার করে সব রাজনৈতিক দল ও সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। এনটিভি