News update
  • Storm Alert Issued for Dhaka and Eight Other Regions     |     
  • 58 killed in deadliest US strike on Yemen     |     
  • BNP Opposes Reforms to Constitution’s Core Principles      |     
  • Time to Repair Bangladesh–Pakistan Ties     |     
  • Dhaka’s air quality recorded ‘unhealthy’ Friday morning     |     

ঘোষিত বাজেটের প্রায় এক তৃতীয়াংশ ঋণের সুদ পরিশোধ করতে চলে যাবে

দায়িত্বশীলদের সাথে মতবিনিময়কালে মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম

রাজনীতি 2024-06-14, 12:01am

iab-islami-andolan-bangladesh-logo-de21b81b25d16c7f62ba6f86a4d29f151718301671.jpeg

IAB - Islami Andolan Bangladesh logo



ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়ল নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, দেশ ভয়াবহ সংকটে নিপতিত। ঋণ করে ঋণ পরিশোধ করার পরিকল্পনাকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের বড় দুর্বলতা মনে করে ঋণ করে মেগা প্রকল্প চালু এবং দফায় দফায় তার খরচ বাড়িয়ে দেশকে ঋণগ্রস্ত করে ফেলেছে সরকার। তাই এবারের বাজেটের সবচেয়ে বড় খাত হচ্ছে ওই ঋণের সুদ পরিশোধের খাত। ঋণনির্ভর বাজেটের সর্বোচ্চ বরাদ্দ ঋণের সুদ প্রদানেই চলে যাবে। অর্থ্যাৎ এ বছর আগের ১২ বিলিয়ন ডলারের আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হবে, যা মোট রাজস্ব আয়ের প্রায় এক তৃতীয়াংশ।

ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর বলেন, দেশ যে একটা বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটের মুখে, তা প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে। এ সংকট আসলে এ বছর বা এক দিনে তৈরি হয়নি, বহুদিন থেকেই এ সংকট তৈরি হচ্ছে। সেই সংকট অস্বীকার করে যেভাবে অর্থনীতি চালানো হয়েছে, তার পরিণামে সংকট আরও গভীর হয়েছে। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সংকোচনের কথা বলে ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ঋণপত্র খোলায় যত বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে, তাতে অর্থনীতির গতি কমবে। আর সরকার যে হারে ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ করার পরিকল্পনা করেছে, তাতে বেসরকারি খাত, বিশেষ করে ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোক্তারা ঋণ পাবে না। সরকার বিদেশ থেকে ঋণ করে যেভাবে রিজার্ভ সংকট কাটানোর চেষ্টা করছে, তা নতুন ঋণের ফাঁদে ফেলে দেশকে আরও গভীর সংকটের দিকে নিয়ে যাবে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দলের প্রেসিডিযাম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মুফতী মোস্তফা কাামল।

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার বিধান রাখার কারণে দুর্নীতিবাজরা আরো উৎসাহিত হবে। সরকারের উদ্দেশ্য যদি এটাই হতো যে বৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জিত অর্থ যা প্রদর্শিত হয়নি, তা বৈধ করার সুযোগ দেওয়া, তাহলে এ ক্ষেত্রে অর্থের উৎস প্রদর্শনের শর্ত থাকত। এই শর্ত না থাকা প্রমাণ করে সরকার অবৈধ অর্থ উপার্জনকে উৎসাহিত করছে এবং তাদের বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে। এভাবে দেশ আরো দুর্নিিতগ্রস্ত দেশে পরিণত হবে। যা জাতি হিসেবে আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি