News update
  • Bangladesh bounce back to level series as Tanvir bags five     |     
  • UN Chief Condemns Russian Attacks, Warns of Nuclear Risks     |     
  • Dhaka Urges Clear Outcome from Upcoming Rohingya Talks     |     
  • Khulna falls short of jute output target for lack of incentives     |     
  • UNRWA Report on the Humanitarian Crisis in Gaza & West Bank     |     

জামায়াতকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে ফখরুল: ‘হয় সঙ্গী, না হয় জঙ্গি’, এই নীতি আওয়ামী লীগের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2024-08-02, 8:02am

8bc78e088b966331b6411d3dbe004d669bde3d816f7242af-b95a1d1a676efbd368b7312e4fe997551722564161.jpg




জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেইসঙ্গে ক্ষমতাসীনদের কঠোর সমালোচনাও করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাতে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার আওয়ামী লীগ সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। বহুদলীয় ব্যবস্থায় একেকটি রাজনৈতিক দলের ভিন্ন ভিন্ন নীতি, আদর্শ, কর্মসূচি থাকাটাই স্বাভাবিক। বলপ্রয়োগ না করে উন্মুক্ত রাজনীতির ময়দানে জনগণের সমর্থনে রাজনৈতিকভাবে তা শান্তিপূর্ণ মোকাবিলা করাই রাজনৈতিক দলের কাজ। কিন্তু আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে তা মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে বা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা না করে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলকে নির্মূল করতে সিদ্ধহস্ত।’

ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ এমন এক রাজনৈতিক দল, তারা ‘হয় সঙ্গী, না হয় জঙ্গি’ নীতিতে বিশ্বাসী। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে জাসদ সৃষ্টি হয়েছিল। সেই জাসদকে নির্মূল করতে দমন-নিপীড়ন চালানো হয়েছিল। এই জাসদকে আওয়ামী লীগ একসময় তাদের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম শেখ মুজিবর রহমানের হত্যার প্রেক্ষাপট রচনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করতো। সেই জাসদের একেক সময় একেক ভগ্নাংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ এক সময় ১৫ দলীয়, ১৪ দলীয় জোট করেছে, সরকার গঠন করেছে, বর্তমানেও তাদের জোট আছে।

তিনি আরও বলেন, জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সখ্যও সর্বজনবিদিত। এক সময় তারা পরস্পরের সঙ্গী ছিল। ৮০’র দশকে স্বৈরাচারবিরোধী সর্বদলীয় গণআন্দোলনের মধ্যে জামায়াতেকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের পিঠে ছুরিকাঘাত করে স্বৈরাচারকে বৈধতা দিতে স্বৈরাচারের পাতানো নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। সে সময়েও জামায়াতের তৎকালীন নেতারা আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে তার পৈত্রিক নিবাসে সাক্ষাৎ করে কোরআন ও জায়নামাজ উপহার দিয়েছিলেন। উপহার দেয়া-নেয়ার সময় উভয় দলের নেতাদের হাস্যোজ্জ্বল ছবি আজও অনেকের মানসপটে রয়েছে।

’৯০ পরবর্তীকালে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ বিএনপির গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে একত্রে সংসদের ভেতর-বাইরে যুগপৎ আন্দোলনে ১৭৩ দিন হরতাল-অবরোধ করেছিল, সংসদ থেকে একত্রে পদত্যাগ করে গণতন্ত্রকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিয়েছিল। সেসময়ে শেখ হাসিনা জামায়াতের নেতাদেরকে পাশে বসিয়ে একত্রে কর্মসূচি দেয়ার ছবি আজও মানুষের দৃশ্যপটে ভাসে। তখন জামায়াতে ইসলামীকে তাদের স্বাধীনতাবিরোধী বা জঙ্গি মনে হয়নি। কারণ তখন জামায়াত আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেছিল। আজ জামায়াত আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করছে। তারা আজ আওয়ামী লীগের সঙ্গী নেই বলে আওয়ামী ভাষায় জঙ্গি হয়ে গেছে’, যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

বাংলাদেশের সংবিধানে রাজনৈতিক দল বা সংগঠন করার অধিকার রয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘এই সাংবিধানিক অধিকারবলে তারা যে কোনো রাজনৈতিক দল, সংগঠন করতেই পারে। আন্তর্জাতিক মানের ন্যায়সংগত ও বিশ্বাসযোগ্য, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ কোনো তদন্ত ছাড়াই কোনো রাজনৈতিক দলকে অপবাদ দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা অন্যায় এবং সংবিধান সম্মত নয়। আমরা জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।’