News update
  • High-level meeting reviews country’s economic progress     |     
  • Dhaka suspends visa, consular services at its Delhi, Agartala Missions     |     
  • Govt to cut savings certificate profit rates from January     |     
  • Gold prices hit fresh record in Bangladesh within 24 hours     |     
  • Election to be held on time, Prof Yunus tells US Special Envoy     |     

চেতনা ব্যবসায়ীরা ছাত্র-জনতার প্রতিপক্ষ, শেখ মজিবুর রহমান নয় -এড. মহসীন রশিদ

রাজনীতি 2024-08-16, 12:10am

adv-mohsen-rashid-acting-president-bml-ff8a2e0e9989321d2fe2a205e65f0cd11723745452.jpg

Adv Mohsen Rashid Acting President BML



আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি শেখ মজিবুর রহমানকে গত ১৬বছর সময় নিয়ে ধীরে ধীরে দ্বিতীয় বার নিজ হাতে খুন করেছেন তারই কন্যা পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা স্বয়ং। অবৈধ ক্ষমতাকে যে কোন মূল্যে আঁকড়ে ধরে থাকতে তিনি, দল হিসাবে আওয়ামী লীগ ও তাদের সুবিধাভোগী দোসররা শেখ মজিবুর রহমান, স্বাধীনতা আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছেন। জনগণ ইতিমধ্যে এ গোষ্ঠীকে চেতনা ব্যবসায়ী হিসাবে চিহ্নিত করেছে। নিজেদের স্বার্থ চিরতার্থ করতে তারা যত্রতত্র, যথেচ্ছ ব্যবহার করে শেখ মজিবুর রহমানকে চরম ভাবে বিতর্কিত করে ফেলেছে। মসনদ টিকিয়ে রাখতে মরিয়া হয়ে এরাই গত জুলাই-আগস্ট মাস জুড়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে দমন করতে নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছে। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি, পালের গোদা শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পরিবারসহ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন, তার সাথে গাঢাকা দিয়েছে সকল চেতনা ব্যবসায়ী। ভারতে আত্মগোপন করা অবস্থায় থেকেই গণশত্রু শেখ হাসিনা আবারও শেখ মজিবুর রহমানকে ব্যবহার করে, ১৫ই আগস্টকে পুঁজি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য চেতনা ব্যবসায়ীদের আত্ম-প্রকাশিত হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। তাদের এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিহত করে দিয়েছে মাত্র। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার লণ্ড-ভণ্ড করে রেখে যাওয়া দেশ পুনর্গঠন, রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার সর্বোপরি শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানতম কাজ। এসকল কার্যাবলী সম্পাদনে সহায়ক যে কোন সিদ্ধান্ত জনগণ অবলীলায় সমর্থন করবে। ১৫ই আগস্টের ছুটি বাতিল সম্পর্কে মতামত ব্যক্ত করে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. মহসীন রশিদ ও মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, শেখ মজিবুর রহমান ৭১এর স্বাধীনতার মূল স্থপতি একথা অস্বীকার করলে আমরা অকৃতজ্ঞ জাতিতে পরিণত হব। তিনি ছাত্র-জনতার প্রতিপক্ষ নন -কোনদিনও ছিলেন না; বরং তাকে ব্যবহার করে যারা চেতনা ব্যবসার মাধ্যমে বিতর্কিত করেছে তারাই দেশপ্রেমিক জনতার প্রতিপক্ষ। সকল চেতনা ব্যবসায়ী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার পর নতুন বাংলাদেশে শেখ মজিবুর রহমান সহ ১৯৪৭ থেকে অদ্যাবধি দেশ ও জাতির সকল অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তিদের আবারও সসম্মানে, মর্যাদার স্থানে, জাতীয় ভাবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে বলে আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি