Islami Andolan Bangladesh
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, দুর্নীতিবাজ নেতা দিয়ে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও দেশ গঠন সম্ভব নয়। সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজি নেতাদের দ্বারা চাঁদাবাজমুক্ত সমাজ ও দেশ গঠন সম্ভব নয়। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে বার বার নেতার পরিবর্তন হয়েছে, নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন না হওয়া দেশ দুর্নীতিমুক্ত হয়নি। মানুষ অধিকার বঞ্চিত হয়ে হাহাকার করছে। এজন্য ভাল নেতা ও নীতিবান আদর্শিক নেতার মাধ্যমে দেশকে ঢেলে সাজাতে না পারলে জনগণের দুঃখ ও দুর্দশার অন্ত থাকবে না। তিনি বলেন, দেশের ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি, তারা প্রশাসনের কোথাও দায়িত্ব পালন করার নৈতিক অধিকার রাখে না। তারা ফ্যাসিবাদী হাসিনার দোসর হিসেবে চিহ্নিত হবে। দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্থিতিশীল ও উন্নতি করার জন্য ঘাপটি মেরে থাকা দোসরদের অনতিবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। তিনি বলেন, লালমনিরহাটের একজন ম্যাজিস্টেট যেভাবে আবু সাঈদকে নিয়ে কটাক্ষ করল যাতে জাতি হতবাক হয়েছে। এ রকম অনেক তাবাস্সুম প্রশাসনের সকল সেক্টরে ঘাপটি মেরে আছে। গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে পদের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আজ শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফকিরবাড়ী স্ট্যান্ডে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা শাখা আয়োজিত বিশাল গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা দীন ইসলাম, সহ-সভাপতি হাফেজ আমিন উদ্দিন, মুহাম্মদ আমানউল্লাহ, মুফতী ইমদাদুল হক, ফারুক আহমদ মুন্সি, মুহাম্মদ ওমর ফারুক, শাহজাহান বেপারী, মুফতী শেখ আল-আমিন, মুহাম্মদ আশরাফ আলী।
সংগঠনের সদর উপজেলা শাখা সভাপতি আলহাজ্ব মফিজুল হকের সভাপতিত্বে এবং আব্দুস বুর মুন্সি ও আবুল হাসেমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে জেরা, থানা ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মাওলানা নইউনুছ আহমাদ বলেন, আবু সাঈদ-মুগ্ধরা রক্তের বিনিময়ে আমাদেরকে স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে। আগষ্টের গণঅভুত্থানের শহীদদের মাগফিলাত কামনা করছি, আহমতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। ৫ আগস্টের শহীদরা ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেণ, উপদেষ্টা পরিষদ দেশকে সংষ্কারে কাজ করছেন। কিন্তু পরী সাহেব চরমোনাই সবসময় সংষ্কারে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে তার দলে কোন খুনি, মাস্তান, চাঁদাবা নেই। কেউ কোন অপরাধে জড়িত নেই। তারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে না। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীণ হলেও ভয় ও উদ্বেগ উৎকন্ঠা কাটেনি। ইসলামী আন্দোলনের কর্শীরা দেশের যে কোন পরিস্থিতিতে দেশ ও জনগণের পাশে ছিলো, আছে , থাকবে।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেণ, ৫৩ বছল পর মানুষ স্বাধীনভাবে সব কিছু করতে পারছে। আগামির বাংলাদেশে কাদের হাতে ক্ষশতা ছাড়বেন, তা নিয়ে গভীলভাবে ভাবতে হবে। কাদের হাতে দেশ, ইসলাম ও মানবতা নিরাপদ থাকবে, এমন রাজনৈতিক দল ও নেতার হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। তিনি শিক্ষা কমিশনে ইসলামী স্কলার ও আলেমকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।
এদিকে আজ ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর-এর তৃণমূল থানা প্রতিনিধি সম্মেলন ভাটারাস্থ আস-সাঈদ মিলনায়তনে নগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যানের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, আলহাজ্ব এম হাসমত আলী, ইন্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, মুফতী সিরাজুল ইসলাম, ডাক্তার মুজিবুর রহমান, মোঃ রাকিবুল ইসলাম, মুফতি নিজাম উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন পরশ, মুহাম্মদ নাজমুল হাসান প্রমুখ। - press release