News update
  • Body of Osman Hadi Returns to Dhaka From Singapore Late     |     
  • Fakhrul condemns attacks on media, calls for unity, justice     |     
  • 2 cops among 4 hurt in clash outside Indian Assit H.C. in Ctg     |     
  • Inqilab Moncho urges people to avoid violence     |     
  • Hadi’s death: Prothom Alo, Daily Star offices set afire      |     

বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2024-11-07, 9:04am

retreterter-201d0eb06c02d3c0c56e983fdc81d5ff1730948666.jpg




আজ ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সিপাহী-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটেছিল। পাল্টে গিয়েছিল দেশের রাজনীতির গতিধারা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নিহত হন শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। তবে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ৩ নভেম্বর সেনাবাহিনীতে একটি অভ্যুত্থানে গৃহবন্দি হন জিয়া। এরপর ৭ আগস্ট পাল্টা অভ্যুত্থানে মুক্ত হয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি। চালু করেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা। ফলে স্বস্তি ফিরে আসে জনগণের মনে। তারপর থেকেই ৭ নভেম্বর পালিত হচ্ছে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে। বিএনপি সরকারের আমলে এ দিনটিতে ছিল সরকারি ছুটি।

গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের সময় দিনটি উদযাপন করতে পারেনি বিএনপি। এবার দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

দিবসটি উপলক্ষে ৬ নভেম্বর রাজধানীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ বেলা ১১টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ করা হবে। শুক্রবার রাজধানীতে ইতিহাসে স্মরণকালের সেরা র‌্যালি করার প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি।

৬ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ বঙ্গভবনে গিয়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদকে গ্রেফতার করে মন্ত্রিসভা বাতিল ও জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন। একই দিনে তিনি প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে দেশের প্রেসিডেন্টের পদে বসান। একপর্যায়ে ৬ নভেম্বর গভীর রাতে সেনাবাহিনীর সাধারণ সিপাহীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সেই অভ্যুত্থানে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দিয়ে সর্বস্তরের জনতা রাজপথে নেমে আসে।

দিনটি উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনের এক ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭৫ সালের এদিনে দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে সিপাহী-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিলো জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের অভূতপূর্ব অঙ্গীকার নিয়ে। তাই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যমন্ডিত। ৭ নভেম্বরের চেতনায় সব জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রের পথচলাকে অবারিত এবং জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এই মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি।’

এদিকে পৃথক বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকের এই মহান দিনে আমি দেশবাসী সবাইকে আহবান জানাই-এখনও দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চূড়ান্ত উত্তরণ হয়নি। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন, নাগরিক স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে গণতান্ত্রিক চেতনার বিকাশ সাধন করতে হবে। ৫ আগস্টের পরে দেশবাসী কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে। এখনও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রকে পদানত করার জন্য কুচক্রী মহল সদা তৎপর। সুতরাং যে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরে আমরা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম, সেই একই চেতনা বুকে ধারণ করে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিশ্চিত করা, স্বাধীনতার সুফল তথা অর্থনৈতিক মুক্তি, শান্তি-শৃঙ্খলা, সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’ আরটিভি