Saiful Huq, general secretary, Biplabi Workers Party addressing a meeting of the Party National Council on Friday.
আজ সকালে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জাতীয় পরিষদের সভায় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন দেশের মানুষকে যে কোন মূল্যে জুলাই - আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের অর্জন ধরে রাখতে হবে। তিনি বলেন, দেশে বিদেশে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার নানা অশুভ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য পরিহার করে বাস্তবায়যোগ্য রাজনৈতিক উদ্যোগ নেবার আহবান জানান।তিনি রাজনৈতিক দল ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের আস্থায় নিয়ে জাতীয় নির্বাচনসহ প্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক উত্তরণের পথনকশা ঘোষণা করা।
তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নীতি আদর্শের পার্থক্য থাকলেও জাতীয় স্বার্থ, সার্বভৌমত্ব, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সকল রাজনৈতিক দল ও জনগণ ঐক্যবদ্ধ। যেকোন উসকানির বিরুদ্ধে সতর্ক থেকে দেশের স্বার্থে এই ঐক্য আমাদেরকে ধরে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, চোরাগোপ্তা কায়দায় পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তির ফিরে আসার কোন সুযোগ নেই।তিনি বলেন, গণহত্যা ও ১৬ বছরের অপরাধ ও লুটপাটের বিচারের মুখোমুখি হওয়া ছাড়া রাজনীতিতে পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তাদের দোসরদের পুনর্বাসনেরও কোন অবকাশ নেই।
তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনে বাংলাদেশ বিরোধী উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের ব্যাপক হামলা আক্রমণ ও ভাংচুরের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন এবং এসব উসকানিমূলক সহিংস তৎপরতার দায়দায়িত্ব নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে বহন করতে হবে।
তিনি বলেন, পশ্চিমবংগের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কর্তৃক বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী পাঠানোর আহবান এবং বেনাপোল সীমান্তে বিজিপির বাংলাদেশ বিদ্বেষী মহড়া পুরোপুরি উসকানিমূলক ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী। মমতা ব্যানার্জির বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের মদদ যোগানোর সামিল।
তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন, বিজেপি সরকার ও তাদের দল পরিকল্পিতভাবে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে মিথ্যা তথ্য ও প্রচারণা ছড়িয়ে আসছে।
তিনি ভারতীয় সরকার ও বিজিপিকে বাংলাদেশ বিরোধী সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার যাবতীয় কর্মকান্ড বন্ধ করার আহবান জানান।
সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংহতি মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিষদের এই সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, শহীদুল আলম নান্নু, রাশিদা বেগম, সজীব সরকার রতন,নির্মল বড়ুয়া মিলন, সাইফুল ইসলাম, সিকদার হারুন মাহমুদ, মাহবুবুল করিম টিপু, এমডি ফিরোজ,অরবিন্দু বেপারী বিন্দু, মোজাম্মেল হোসেন, জসিম উদ্দিন রাঢি, মাসুদূর রহমান মাসুদ, কে এম আলীদাদ, শাহীন আলম, মৃদুল বড়ুয়া, মাহমুদুল হাসান পিপলু, আবদুল হালিম ভুইয়া, সাবিনা ইয়াসমিন, শাহজাহান সিকদার, নজরুল ইসলাম শাহজাহান, জামাল সিকদার, আবু হানিফ, নীলুফার ইয়াসমিন, বাবর চৌধুরী, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, জোনায়েদ হোসেন, প্রাণকৃষ্ণ দাস প্রমুখ।
সভায় পার্টির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় নেতা মোখলেছুর রহমানসহ পার্টির প্রয়াত নেতৃবৃন্দের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং এক মিনিট দাঁড়িয়ে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।