জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি।
খসরু বলেন, ‘ম্যান্ডেটবিহীন রাজনৈতিক দলগুলোকে সব সমস্যার সমাধানে দায়িত্ব দেয়নি দেশের জনগণ৷ যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হয়েছে তা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে যতটুকু ঐকমত্য হবে, তার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নাই। সেটা নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আর যে বিষয়ে ঐকমত্য হবে না, সেগুলো আগামী নির্বাচনের পর সমাধান হবে। বিএনপির দেয়া অনেক বিষয় আছে, যেখানে ঐকমত্য আসেনি। আমরা তা মেনে নিয়েছি। তাই সব দলেরও মেনে নেয়া উচিত।’
নির্বাচনে প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো দল কী করছে, সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। তবে বিএনপি কবে প্রার্থী ঘোষণা তা সময় হলে জানা যাবে। ভেবে-চিন্তে সিদ্ধন্ত নেয়া হবে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে দল। বিএনপি একটা বড় দল, এখানে একাধিক প্রার্থীতার প্রত্যাশা করবেই। দল যাকে ভালো মনে করবে তাকে সবাই সমর্থন দেবে।’
জার্মানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট এখন সর্বক্ষেত্রে প্রজোয্য। টেকনোলিজি এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সে আমরা জোর দিচ্ছি। তাছাড়া অর্থনৈতিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই যৌথভাবে অভিজ্ঞতা তৈরির জন্য জার্মানির সঙ্গে আলোচনা করেছি। বর্তমানে যে বাণিজ্য রয়েছে, সেটা আরও কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে কথা হয়েছে।’
গণতন্ত্র মঞ্চসহ যে কেউ চাইলেই জোট গঠন ছাড়াও ৩০০ আসনে নির্বাচন করতে পারে, এতে কোনো আপত্তি নেই বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
বিনিয়োগ নিয়েও কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে জার্মানি সরকার বাংলাদেশকে মনে করছে আগামী দিনের বিনিয়োগের জন্য একটি ভালো ডেস্টিনেশন। সব কথার শেষ কথা তারা জানতে চাচ্ছে দেশে নির্বাচন কবে হবে। বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে সবাই৷’
আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে ৩ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাতের বিসয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে কমেন্ট নাই। রাজনীতি সহজ নাকি? কারো বাসায় একটা কূটনীতিক মিটিং হলে কিছু হয়ে যায় নাকি? এগুলো গুরুত্ব দেয় না বিএনপি। জনগণ কি চায় সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিএনপির কাছে।’
খালেদা জিয়ার রাজনীতির বিষয়ে তিনি বেলন, ‘খালেদা জিয়া রাজনীতি থেকে কখনোই চলে যান নাই। তার জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতে যাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। এ নিয়ে রাজনীতিকরণের সুযোগ নাই।’