হুমায়ুন কবির বেপারী
স্টাফ রিপোর্টার, ফরিদগঞ্জ
চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ পৌরসভার কেরোয়া গ্রামের কৃতি সন্তান হুমায়ুন কবির বেপারী তার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রতি অবিচল আনুগত্য ও ত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
৯০-এর দশকে রাজনীতিতে পা রাখা এই নেতা দলের ক্রান্তিকালে আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি সাংগঠনিক ও সাহিত্য জগতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে হুমায়ুন কবির বেপারী দীর্ঘকাল ধরে বিএনপির তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে তার সাংগঠনিক দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন।
তিনি ছিলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপি’র সাবেক সর্মানীত সদস্য এবং স্থানীয় পর্যায়ে ফরিদগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক বৃক্ষরোপণ বিষয়ক সম্পাদক।
দলের সহযোগী সংগঠনগুলোতেও তার নেতৃত্ব ছিল উল্লেখযোগ্য:
জাতীয়তাবাদের সাংস্কৃতিক দলের বর্তমান সভাপতি।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের চেয়ারম্যান (একাধিক বার জাতীয় সংগঠক হিসেবে পুরস্কারপ্রাপ্ত)।
জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দলের অবিভক্ত ঢাকা সাবেক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক।
জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব।
আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকায়
রাজনৈতিক জীবনে তিনি বহুবার কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন, কিন্তু দলীয় আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যুত হননি।
বিশেষ করে, ১/১১ সরকারের সময় যখন বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কারাবন্দী ছিলেন, তখন তাদের মুক্তি আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
এই সময়ে তিনি খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে দলকে সংগঠিত রাখেন।
তাঁর রাজনৈতিক সক্রিয়তার কারণে ক্ষমতাসীন দলের শাসনামলে তাকে দুইবার কারাবরণ করতে হয়েছে, যা তাঁর 'ত্যাগের রাজনীতি'কেই দৃঢ়ভাবে প্রমাণ করে।
রাজনীতির পাশাপাশি দলীয় ডকুমেন্টেশন ও প্রকাশনার ক্ষেত্রেও হুমায়ুন কবির বেপারীর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বই সম্পাদনা করেন, যা স্বয়ং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কর্তৃক উদ্বোধন হয়েছিল।
এছাড়াও, তাঁর তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত আরও তিনটি বই উদ্বোধন করেন তারেক রহমান। দলের বিভিন্ন তথ্যচিত্র (ডকুমেন্টারি) নির্মাণেও তিনি কারিগরি সহায়তা দিয়েছেন।
কেরোয়া গ্রামের এই কৃতি সন্তান তাঁর কর্মনিষ্ঠা, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং ত্যাগের মধ্য দিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে এক অনুকরণীয় উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।