
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, অবস্থার অবনতি না হলেও স্থিতিশীল আছে বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য। শারীরিক অবস্থা যাত্রা উপযোগী না হওয়ায় এখনও তার লন্ডন যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি মেডিকেল বোর্ড। তাই এভারকেয়ারেই তাকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে ছিল না বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও পাহারাতেও দেখা গেছে ঢিলেঢালা ভাব।
চিকিৎসাধীন বিএনপি নেত্রীর অবস্থা এখন অপরিবর্তিত। এরইমধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বেগম জিয়ার। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সবশেষ তার সিটিস্ক্যান করানো হলে রিপোর্ট আসে স্বাভাবিক৷ দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা এর আগে জানিয়েছিলেন, যাত্রা উপযোগী শারীরিক অবস্থা না থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য এখনই লন্ডন নেয়া হচ্ছে না বিএনপি নেত্রীকে। যদিও গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে যুক্তরাজ্যে নেয়ার সব প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বেগম জিয়ার চিকিৎসকরা।
সেদিনই লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছে অসুস্থ শাশুড়ির কাছে আসেন বেগম জিয়ার বড়ছেলে তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান। এরপর প্রতিদিনই তিনি অন্তত দুইবার করে হাসপাতালে যাচ্ছেন বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে। অন্যদিকে, ১৭ দিন ধরে বেগম জিয়ার সঙ্গেই আছেন ছোট ছেলের সহধর্মিণী সৈয়দা শামিলা রহমান।
সবশেষ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বেগম খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড গণমাধ্যমে জানিয়েছিল, এয়ার এম্বুলেন্স প্রস্তুত আছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী যাওয়ার মতো উপযোগী হলেই বিদেশে নিয়ে যাওয়া হবে তাকে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি ৮০ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হৃদযন্ত্র, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।