একটি নতুন দীর্ঘস্থায়ী ওষুধ এইচআইভি সংক্রমণের ক্ষেত্রে হিসাব-নিকাশ বদলে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওষুধটির পক্ষের প্রবক্তারা আশাবাদী যে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে যাদের এটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তাদেরকে আগের এইচআইভি’র ওষুধগুলো পেতে যতদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে, এবার তত বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। কিন্তু ওষুধটির সহজলভ্যতা ও দাম নিয়ে প্রশ্ন এখনও রয়ে গিয়েছে।
ওষুধটির নাম ক্যাবোটেগ্রাভির এবং এটি প্রতি দুইমাস অন্তর ইনজেকশন হিসেবে নিতে হয়। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা যায় যে, এটি বিকল্প পন্থাটির চেয়ে ভালভাবে সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে। বিকল্প পন্থাটিতে প্রতিদিন একটি ট্যাবলেট খেতে হয়।
দ্বিমাসিক ইনজেকশনটি দৈনিক ট্যাবলেটের তুলনায় সহজতর হিসেব ধারণা করা হচ্ছে বলে, এভিএসি-র নির্বাহী পরিচালক মিচেল ওয়ারেন জানান। এইচআইভি প্রতিরোধের পক্ষে একটি প্রবক্তা সংগঠন হল এভিএসি।
নিয়মিত ট্যাবলেট সেবনের ক্ষেত্রে অসুবিধা ছাড়াও একধরণের সামাজিক অসম্মান জড়িত বলে, ওয়ারেন জানান। প্রি-এক্সপোজার প্রোফিল্যাক্সিস বা পিআরইপি নামের প্রতিরোধী ওষুধগুলো সেই একই ওষুধ যা এইচআইভি সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে ক্যাবোটেগ্রাভিরের জন্য বার্ষিক ২২,০০০ ডলার খরচ হয়। ওষুধটি প্রস্তুতকারী কোম্পানী, ভিআইআইভি হেলথকেয়ার এখনও ঘোষণা দেয়নি যে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এটির দাম কত হবে। তবে আশা করা হচ্ছে যে তা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেকটাই কম হবে। কিছু সাহায্য সংস্থা আভাস দিয়েছে যে, ভিআইআইভি এই ওষুধটি বার্ষিক ২৫০ ডলারে বিক্রি করবে।
অপরদিকে, পিআরইপি ট্যাবলেটগুলোতে বার্ষিক ৫৪ ডলারের মত খরচ হয় বলে, ওয়ারেন জানান।
ভিআইআইভি বলে যে, তারা জাতিসংঘ সমর্থিত মেডিসিনস পেটেন্ট পুল এর সাথে কাজ করছে, যাতে জেনেরিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য কম দামে ক্যাবোটেগ্রাভির উৎপাদন করতে পারে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।