News update
  • Bangladesh Faces $1.25 Billion Export Loss from US Tariffs     |     
  • Israel Expands Gaza Assault as UN Warns of ‘Genocide’     |     
  • World Ozone Day Highlights Progress and Future Action     |     
  • DG Health Services gives 12 directives to treat dengue cases     |     
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     

বাংলাদেশে নতুন উদ্ভাবিত 'ডায়াবেটিক ধান' সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রোগবালাই 2023-03-04, 9:14am

6fccb850-b9da-11ed-8715-0137a9659e41-0452e2b615e4ac7cde05b605184d93e21677899677.jpg




বাংলাদেশের ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট উচ্চ ফলনশীল দুটি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে যার মধ্যে একটি ধানের চাল বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী বলে দাবি করছে ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানী ও পুষ্টিবিদরা।

আর অন্য জাতটি দক্ষিণাঞ্চলসহ জোয়ার ভাটা অঞ্চলের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী হবে বলে জানিয়েছে ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট।

জাতীয় বীজ বোর্ডও এ দুটি ধানকে অনুমোদন দিয়েছে। ফলে এখন দুটি জাতই মাঠ পর্যায়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

নতুন ধানের বৈশিষ্ট্যের কথা জনিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক নতুন উদ্ভাবিত ব্রি ধান ১০৫ ‘ডায়াবেটিক চাল’ হিসেবে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে তারা আশা করছেন।

কর্মকর্তারা বলেছেন তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে এ দুটি জাতের চাষ ও ফলন পরীক্ষা করেছে ব্রি। শেষ পর্যন্ত ধারাবাহিক ফলন গ্রহণযোগ্য মনে করা হয় এবং দুটি জাতকেই অনুমোদন দিলো জাতীয় বীজ বোর্ড।

এই ধানকে ডায়াবেটিক চাল বলা হচ্ছে কেন

ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডঃ খন্দকার মো. ইফতেখারুদ্দৌলা বলছেন এ ধানটি কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা জিআইসম্পন্ন হওয়ার কারণেই এটিকে ‘ডায়াবেটিক চাল’ বলা হচ্ছে।

“অতিরিক্ত ছাটাইকৃত চাল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার আমাদের দেশে মাড় ফেলে ভাত খাওয়ার কারণে এমনি পুষ্টি কম পাওয়া যায়। এ অবস্থায় ব্রি ধান ১০৫ বেশ আগ্রহ তৈরি করেছে কারণ এটিতে পুষ্টিমান যেমন আছে তেমনি জিআই অনেক কম,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

সাধারণত খাদ্যে জিআই ৫৫ বা আর নীচে থাকলে এটি কম জিআই সম্পন্ন বলা হয়ে থাকে। ইন্সটিটিউটের গবেষণায় ব্রি ধান ১০৫-এ জিআই এই মাত্রার নিচে পাওয়া গেছে।

অবশ্য বাংলাদেশে লো জিআই-এর ধান উদ্ভাবন এবারই প্রথম নয়। এর আগেও লো জিআই সমৃদ্ধ তিনটি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন এবারের ধানটি উচ্চ ফলনশীল জাতের এবং হেক্টরপ্রতি এর সম্ভাব্য উৎপাদন সাত টনের বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ব্রি বলেছে, বোরো মৌসুমে চাষের উপযোগী ব্রি ধান ১০৫ থেকে পাওয়া চালে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ তুলনামূলক কম এবং সে কারণেই একে ‘ডায়াবেটিক ধান’ বলা হচ্ছে।

লাগবে বলে বলছেন সংস্থাটির বিজ্ঞানীরা।

ডঃ খন্দকার মো. ইফতেখারুদ্দৌলা বলছেন এসব এলাকার জন্য আগেও একটি জাত ছিলো কিন্তু সেটি হেলে পড়তো।

“নতুন এ জাতটি হেলে পড়বে না এবং এর ফলনও বেশি হবে। হেক্টর প্রতি সাড়ে পাঁচ টনের মতো ধান পাওয়া যাবে এ জাত চাষ করা হলে,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

তিনি বলছেন নতুন এ জাতটির পাতা খাড়া, প্রশস্ত ও লম্বা। আর পাতার রং হবে গাঢ় সবুজ।

এছাড়া এ ধান গাছটির গোড়া ও ধানের দানার মাথায় বেগুনি রঙ থাকে এবং এর গড় জীবনকাল ১১৭দিন।

শতাধিক উচ্চ ফলনশীল জাত এসেছে ব্রি’র মাধ্যমে

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট বলছে, তাদের উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের সবচেয়ে বড় অর্জনই হচ্ছে প্রতিকূল ও অপ্রতিকূল পরিবেশ উপযোগী উচ্চ ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা এ পর্যন্ত ১০২টি (৯৫ টি ইনব্রিড ও ৭টি হাইব্রিড) উচ্চ ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে।

এর মধ্যে রয়েছে:

৪৩টি জাত বোরো মওসুমের জন্য (বোরো ও আউশ উভয় মওসুম উপযোগী)

২৫টি জাত বোনা এবং রোপা আউশ মওসুম উপযোগী

৪৫টি জাত রোপা আমন মওসুম উপযোগী

১২টি জাত বোরো ও আউশ - উভয় মওসুম উপযোগী

১টি জাত বোরো, আউশ এবং রোপা আমন মওসুম উপযোগী

এবং ১টি জাত বোনা আমন মওসুম উপযোগী। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।