News update
  • $10mn Approved for Climate Resilience in CHT: ICIMOD     |     
  • At least 143 dead in DR Congo river boat fire tragedy     |     
  • Dhaka has worst air pollution in the world Saturday morning     |     
  • Container ships to ply between Mongla and Chattogram ports     |     
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     

জরায়ুমুখ ক্যানসারের টিকা পাবে ৬২ লাখ কিশোরী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রোগবালাই 2024-10-23, 7:08am

img_20241023_070749-38ca8565f82e59ae86fb9f28fd559aed1729645682.jpg




জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে কিশোরীদের হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) থেকে ঢাকা বাদে সাতটি বিভাগে বিনামূল্যে এ টিকা দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘এইচপিভি ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন ২০২৪’ বিষয়ক জাতীয় অ্যাডভোকেসি সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, গত বছর প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা দেওয়া শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে শুধু ঢাকা বিভাগে এ কার্যক্রম চলে। এর আওতায় টিকা পায় প্রায় ১৫ লাখ কিশোরী।

সেই ধারাবাহিকতায় এ বছর দ্বিতীয় পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে। ঢাকা বাদে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের সব জেলা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরী এই টিকা নিতে পারবে। যা মিলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ইপিআই কেন্দ্রে।

টিকাদান কর্মসূচি চলবে ২৪ অক্টোবর থেকে ১৮ দিন। এই সময়ে ৬২ লাখ ১২ হাজার ৫৩২ জন কিশোরীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য হাতে নিয়েছে সরকার। টিকা নেওয়ার জন্য www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে ১৭ ডিজিটের জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।

সভায় ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ এমা ব্রিগহাম বলেন, অল্প বয়সী মেয়েদের স্বাস্থ্য ও অধিকার অবশ্যই সুরক্ষিত করতে হবে। এই ইভেন্টটি বাংলাদেশের লাখ লাখ মেয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। আসুন আমরা বাংলাদেশের লাখ লাখ মেয়ের স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যৎ রক্ষায় একযোগে কাজ করি।

বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. রাজেশ নারওয়াল বলেন, জরায়ুমুখের ক্যানসারের কারণে আমরা অনেক প্রাণ হারাই। তবে এটি প্রতিরোধযোগ্য। সমাধান আমাদের হাতেই আছে।

তিনি আরও বলেন, জরায়ুমুখের ক্যানসার শুধু প্রতিরোধযোগ্য নয়, নির্মূলও করা যায়। এই ক্যাম্পেইনের সাফল্য শুধু জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধেই নয়, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে রোগ নির্মূলে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ বলেন, আমাদের লক্ষ্য সাতটি বিভাগে ৬০ লাখেরও বেশি কিশোরীকে এই পরিষেবা সরবরাহ করা। আশাকরি প্রত্যেক স্টেকহোল্ডারের সহযোগিতায় এই ক্যাম্পেইন সফল হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফরের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী মো. রশীদ-উন-নবী, জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহমদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল হাকিম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইফুল্লাহিল আজম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম প্রমুখ। আরটিভি