News update
  • Dhaka’s air quality unhealthy for sensitive groups Tuesday morning     |     
  • Sunamganj farmers worry over fair prices for Boro paddy     |     
  • Pope Francis was a source of controversy, spiritual guidance in Argentina     |     
  • Four Rare Snow Leopards Spotted on Pakistan’s Northern Peaks     |     
  • Gold becomes pricier than ever in Bangladesh      |     

পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আসছে, ৬০ হাজার শিক্ষকের পদশূন্য

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক শিক্ষকতা 2024-01-30, 9:13am

images-11-867d4888bd1437e75dac3e83a7aecb771706584464.jpeg




শিগগির পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চলেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এ লক্ষ্যে ই-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করেছে সংস্থাটি, যা ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এরপর শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ ও তা যাচাই শেষে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে সংস্থাটি।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এনটিআরসিএর সদস্য মুহাম্মদ নুরে আলম সিদ্দিকীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এনটিআরসিএ কর্তৃক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি) শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের লক্ষ্যে পঞ্চম নিয়োগ সুপারিশ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আগে এনটিআরসিএর প্রচলিত নিয়ম অনুসারে সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের শূন্যপদের তথ্য চাহিদা (ই-রিকুইজিশন) অনলাইনে সংগ্রহ করা হবে। অনলাইনে চাহিদা দেওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আবশ্যিকভাবে ই-রেজিস্ট্রেশন (অনলাইন নিবন্ধন) কার্যক্রম সম্পাদন করতে

যেসব প্রতিষ্ঠান পূর্বেই ই-রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে, তাদের অবশ্যই ই-রেজিস্ট্রেশন প্রোফাইল হালনাগাদ করতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে অনলাইন প্লাটফর্মে ই-রেজিস্ট্রেশন সম্পাদন কিংবা প্রোফাইল হালনাগাদ না করলে অনলাইনে নিয়োগযোগ্য শিক্ষকের শূন্যপদের চাহিদা (ই-রিকুইজিশন) দেওয়া সম্ভব হবে না। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এর মধ্যে ই-রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ই-রেজিস্টেশন ফর্মের এডিট অপশনে ক্লিক করে প্রতিষ্ঠানের প্রোফাইল হালনাগাদ করতে হবে।

কোনো প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য অপরিবর্তিত থাকলেও ওই প্রতিষ্ঠানকে লগইন করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। নতুবা ই-রেজিস্ট্রেশন নবায়ন বা হালনাগাদ হবে না। এজন্য ২৯ জানুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন প্রতিষ্ঠানের জন্য ই-রেজিস্ট্রেশন করা এবং আগে ই-রেজিস্ট্রেশন করা প্রতিষ্ঠানের তথ্য হালনাগাদ করার জন্য অনুরোধ করেছে সংস্থাটি।

এতে বলা হয়, জেলা শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের নিজস্ব প্রোফাইলও হালনাগাদ করতে হবে। ই-রেজিস্ট্রেশন প্লাটফর্মে লগইন করার জন্য তাদেরকে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড টেলিটক থেকে এমএমএসের মাধ্যমে পাঠানো হবে। ই-রেজিস্ট্রেশন প্ল্যাটফর্মে লগইন করে তথ্য প্রদান কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে ই-রেজিস্ট্রেশন নামক সেবাবক্সে দেওয়া নির্দেশনা অনুসরণ করতে অনুরোধ করা হলো।

জানা গেছে, সর্বশেষ ২০২২ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করে সংস্থাটি। চতুর্থ ধাপে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে তথ্য যাচাইয়ে ৬৮ হাজার শূন্য পদ পাওয়া যায়। এরপর এমপিওপ্রাপ্য এসব এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ করতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তবে সেসময় মাত্র ৩২ হাজার প্রার্থী নির্বাচন সম্ভব হয়। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের শেষাংশে তাদের মধ্যের ২৭ হাজার নতুন শিক্ষককে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়।

নির্বাচিত ২৭ হাজার প্রার্থীর মধ্যে অনেকে যোগ না দেওয়ায় বর্তমানে ৪১ হাজারের বেশি শিক্ষকের পদ ফাঁকা রয়েছে। এর সঙ্গে ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের অবসরজনিত কারণে ৩৫ হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

শূন্য হওয়া শিক্ষক পদও রয়েছে। এ হিসেবে প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক পদ এখন শূন্য। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।