News update
  • Guterres tells UNSC two-State option near point of no return     |     
  • 14-year-old Suryavanshi smashes record-breaking T20 century     |     
  • If the US Nuclear Umbrella Collapses, Will it Trigger a Euro-Bomb?     |     
  • Israeli restrictions on UN bodies in Gaza highlighted at ICJ     |     
  • Lightning strikes kill 11 in six Bangladesh districts     |     

ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিখনকালীন মূল্যায়ন ও বার্ষিক পরীক্ষার জরুরি নির্দেশনা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক শিক্ষকতা 2024-09-21, 8:07pm

sdfdsgf-2f10d7116dadc4d579ce00bb3a46a3ed1726927704.jpg




ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের শিখনকালীন মূল্যায়ন ও বার্ষিক পরীক্ষার জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, এসব শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার জন্য সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, প্রশ্নের ধারা ও মানবণ্টন সংশোধন-পরিমার্জন করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।

সাধারণ নির্দেশনাগুলো হলো

ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন কার্যক্রমে শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং বার্ষিক পরীক্ষা দুটি ভাগে অনুষ্ঠিত হবে।

২০২৪ শিক্ষাবর্ষের এসব শ্রেণির শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং বার্ষিক পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২-এর আলোকে প্রণীত পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে সম্পন্ন হবে।

সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব তত্ত্বাবধানে শিক্ষকদের দ্বারা শিখনকালীন মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা এবং এনসিটিবির দেওয়া প্রশ্নপত্রের নমুনা অনুসরণ করে বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করবেন। তবে কোনোক্রমেই এনসিটিবির দেওয়া নমুনা প্রশ্নপত্র হুবহু ব্যবহার করা যাবে না। প্রণীত প্রশ্নের সাহায্যে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়ন কার্যক্রমের মোট নম্বর হবে ১০০। এর মধ্যে শিখনকালীন মূল্যায়নের গুরুত্ব হবে ৩০ শতাংশ এবং পরীক্ষার গুরুত্ব (Weightage) হবে ৭০ শতাংশ। বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক জিপি বা গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

শিখনকালীন মূল্যায়নের নির্দেশনা

প্রতিটি বিষয়ের পাঠ্যপুস্তকে নির্দেশিত একক কাজ, জোড়ায় কাজ, পোস্টার প্রেজেন্টেশনসহ যাবতীয় কার্যক্রম শিখনকালীন মূল্যায়নের ‘মূল্যায়ন আইটেম’ হিসেবে বিবেচিত হবে। শিখনকালীন মূল্যায়ন পরিচালনার জন্য বিষয়ভিত্তিক নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির আওতাধীন শিখনকালীন মূল্যায়নের যেসব কার্যক্রম এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং যেগুলো সামনে সম্পন্ন হবে সেগুলোর রেকর্ড যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। শিখনকালীন মূল্যায়নের যাবতীয় কার্যক্রম বার্ষিক পরীক্ষা শুরুর আগেই সম্পন্ন করতে হবে।

শিখনকালীন মূল্যায়নের যাবতীয় কার্যক্রম বার্ষিক পরীক্ষা শুরুর আগেই সম্পন্ন করতে হবে।

ফলাফল নির্ধারণ

শ্রেণি উত্তরণের জন্য ষষ্ঠ-নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ফল প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়ের মোট নম্বর হবে ১০০। এই ১০০ নম্বরের মধ্যে ধারাবাহিক বা শিখনকালীন মূল্যায়নের গুরুত্ব হবে ৩০ শতাংশ এবং লিখিত বার্ষিক পরীক্ষার গুরুত্ব হবে ৭০ শতাংশ। যেহেতু প্রত্যেক বিষয়ে ধারাবাহিক বা শিখনকালীন মূল্যায়নের জন্য বরাদ্দকৃত মোট নম্বর ৩০ এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য বরাদ্দকৃত মোট নম্বর ১০০, সেহেতু একজন শিক্ষার্থীর একটি বিষয়ের বার্ষিক ফল প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে ওই বিষয়ের ধারাবাহিক বা শিখনকালীন মূল্যায়নে তার প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে লিখিত বার্ষিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ৭০ শতাংশ যোগ করে ওই বিষয়ের বার্ষিক ফল বা গ্রেড নির্ণয় করতে হবে।

কোনো বিষয়ে মূল্যায়নে মোট ৮০ থেকে ১০০ নম্বর পেলে A+ বা ৫ পয়েন্ট, ৭০ থেকে ৭৯ নম্বর পেলে A বা ৪ পয়েন্ট, ৬০ থেকে ৬৯ নম্বর পেলে A- বা ৩ দশমিক ৫ পয়েন্ট, ৫০ থেকে ৫৯ পেলে B বা ৩ পয়েন্ট, ৪০ থেকে ৪৯ পেলে C বা ২ পয়েন্ট, ৩৩ থেকে ৩৯ পেলে D বা ১ পয়েন্ট ও ০০ থেকে ৩২ পেলে F বা ০ পয়েন্ট পাবেন শিক্ষার্থীরা।

যেভাবে পরের শ্রেণিতে প্রমোশন

একটি বিষয়ে সর্বনিম্ন D গ্রেড পেলে ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ বলে বিবেচনা করা হবে। ৩ বা ততোধিক বিষয়ে কোনো শিক্ষার্থী D গ্রেড পেলে সে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে পারবে না। তবে বিষয় শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠান প্রধান বিশেষ বিবেচনায় তাকে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তরণের সুযোগ দিতে পারেন। বিশেষ বিবেচনার বিষয়টি শুধু ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য হবে।

স্ব স্ব শ্রেণির সিলেবাস ও প্রশ্ন কাঠামো জানতে ক্লিক করুন