News update
  • AC Tabassum Urmi sacked over anti- govt Facebook posts     |     
  • Bangladeshi killed in BSF firing at Chuadanga border      |     
  • Rains Fuel Disasters in 83pc of Brazilian Cities: Report     |     
  • Hamas ready and serious to reach an accord if it ends war     |     
  • Paradise lost: Cox’s Bazar tourists shocked by wastes at sea     |     

ছেলের নাম কমিটিতে প্রস্তাব না করায় প্রধান শিক্ষককে বিএনপি নেতার মারধর

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক শিক্ষকতা 2025-02-02, 11:05pm

rettwtw-75926fd87f7b638081a38824eddcb0db1738515959.jpg




নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের পশ্চিম চরকাঁকড়া পন্ডিতেরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ এন এন ইয়াছিনকে প্রকাশ্যে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রেজাউল হক (৫৫) উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও একই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের পন্ডিতেরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

পশ্চিম চরকাঁকড়া পন্ডিতেরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান মো. জাকির হোসেন সরকার বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে পশ্চিম চরকাঁকড়া পন্ডিতেরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা চলছিল। সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল হকের শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায় তিনি বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি বানাতে তার ছেলে একই বিদ্যালয়ের ছাত্র ও উপজেলার পেশকারহাট জনতা বাজার শাখার ক্যাশিয়ার তানভীর হোসেন শুভ (২৮) এর নাম প্রস্তাব করে। কিন্ত বিএনপি নেতার ছেলের বয়স কম হওয়ায় বয়োজ্যেষ্ঠ এ বি এম ছিদ্দিক (৭৫) ও এ কে এম আব্দুল ওহাব (৬৩) ও গোলাম সরওয়ারের (৪৭) নামের তালিকা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।

জাকির হোসেন সরকার আরও বলেন, অ্যাডহক কমিটির সভাপতির তালিকায় ছেলের না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষকের ওপর ক্ষিপ্ত হয় রেজাউল। রোববার বেলা ১১টার দিকে জরুরি কাজে বিদ্যালয়ে থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে বিএনপি নেতা প্রধান শিক্ষকের গতিরোধ করে পথ আটকায়। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষককে প্রকাশ্যে বেজায় গালমন্দ করে কিল, ঘুষি দেন। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেতার ফার্মেসি, দোকান ভাঙচুর করে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। পরে প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পার পান তিনি।  

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল হক অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, প্রধান শিক্ষককে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে একটু গালমন্দ করেছি। আমি ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে গত ১৪ বছর ধরে নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমার ছেলে মাস্টার্স পাস। আমার সঙ্গে আরও তিনজন অ্যাডহক কমিটিতে প্রার্থী। সবাই ডিগ্রি পাস। প্রধান শিক্ষক অন্য আরেকজনের সঙ্গে চক্রান্ত করে আমার ছেলের নামটি তালিকায়ও রাখেননি।    

এ বিষয়ে জানতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।  আরটিভি