News update
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     

এবার নারী কোটা বহাল রাখার দাবি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক শিক্ষকতা 2025-05-25, 10:09pm

img_20250525_220935-fa660708d59cb17ecd93f153ebe8b3951748189394.jpg




বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে ৩০ শতাংশ নারী কোটা বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। 

রোববার (২৫ মে) সংগঠনটির সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। 

গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার সরকারি প্রাথমিকের পর এবার বেসকারি শিক্ষক নিয়োগে ৩০ শতাংশ নারী কোটা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারী কোটা বাতিলের এ ধরনের সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

এতে আরও বলা হয়, গ্রামীণ ও পশ্চাৎপদ এলাকার বহু শিক্ষিত নারী শুধু এ কোটার মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রবেশ ও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। নারী শিক্ষকদের উপস্থিতি স্কুলে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ইতিবাচক ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করে; বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

বিবৃতিতে বলা হয়, মহিলা পরিষদ মনে করে একের পর এক নারী কোটা বাতিলের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষাখাতে তাদের অংশগ্রহণে বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এজন্য সংগঠনটির পক্ষ থেকে সব শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বহাল রাখার বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। 

এর আগে, গত ২২ মে দেশের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ১৫ মে এই প্রজ্ঞাপনে সই করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পদ (এন্ট্রি লেভেলে) শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের ক্ষেত্রে নারী কোটা থাকবে না।

এর আগে, দেশের এমপিওভুক্ত সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নারী কোটায় গড়ে ৩০ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। শহরাঞ্চলের প্রতিষ্ঠানে ৪০ শতাংশ শিক্ষক পদ নারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হতো আর মফস্বল অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানে নারীদের জন্য কোটা ছিল ২০ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ৭ শতাংশ কোটা প্রযোজ্য হবে। এই ৭ শতাংশ কোটার মধ্যে রয়েছে—বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গণার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ।আরটিভি