মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে লাগাতর অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা।
রোববার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি শুরু হয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের আয়োজনে এতে সারাদেশ থেকে আসা বিপুলসংখ্যক শিক্ষক অংশ নেন।
এতে পল্টন থেকে হাইকোর্টের সামনের কদম ফোয়ারা অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষকরা।
আয়েজক সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষকদের এ কর্মসূচিতে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন এবং যুগ্ম সদস্যসচিব ও শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ শান্তসহ এনসিপির কয়েকজন নেতা অংশ নেবেন।
এর আগে, গত ১৩ আগস্ট এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের জাতীয় প্রেস ক্লাবের শিক্ষক সমাবেশে কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। ওইদিন শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেসিকের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা ও কর্মচারীদের উৎসবভাতা বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ২ মাস পার হলেও তাদের দাবি পূরণ না করায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ।
এর মধ্যেই গত ৫ অক্টোবর শিক্ষক দিবসে মাত্র ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষকরা। এবার মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা ও উৎসবভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি করছেন তারা।
জানতে চাইলে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজি বলেন, ১৩ আগস্ট শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবে দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরও এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হয়নি। উল্টো ৫০০ টাকা বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করে আমাদের সঙ্গে প্রহসন করা হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীরা এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন। শিক্ষকদের দাবি শিক্ষরাই আদায় করে নেবেন। আরটিভি