News update
  • Tarique Rahman returns home amid rapturous reception     |     
  • Home After 17 Years: Tarique Returns to Gulshan Residence     |     
  • Tarique Calls for United Effort to Build a Safe Bangladesh     |     
  • Tarique leaves for 300 feet area from airport     |     
  • BNP top leaders welcome Tarique Rahman on homecoming     |     

নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক শিল্প-কারুশিল্প 2022-06-11, 7:45pm




আগামী ২৮ জুলাই থেকে ৩১তম নিউ ইয়র্কে ৪ দিন ব্যাপী বাংলা বইমেলা শুরু হচ্ছে। এ উপলক্ষে  বাংলা একাডেমিতে লেখক প্রকাশকদের  এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
গত ৯ জুন সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির শহীদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে লেখক প্রকাশকের এই মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে বাংলা বইমেলা ভিত্তিক যে সংস্কৃতি তৈরী হয়েছে, তা মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের হাত ধরে শুরু হয়েছে। তিন দশক ধরে একটি বেসরকারী সংগঠন বাংলা ভাষা সংস্কৃতিকে যে মমত্ব নিয়ে সাফল্যের সাথে এগিয়ে নিয়ে চলেছে তা অনুকরণীয়। ৩১তম নিউ ইয়র্ক বাংলা বইমেলা যাতে আরো বেশি অর্থবহ হতে পারে সেজন্য আমরা আরো বেশি করে সহযোগিতার হাত বাড়াবো। 


আগামী ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য ৩১তম নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা উপলক্ষে লেখক ও প্রকাশকদের সাথে মতবিনিময় সভাটি আয়োজন করে ‘মুক্তধারা ফাউন্ডেশন’। নিউ ইয়র্ক বাংলা বইমেলার আহ্বায়ক গোলাম ফারুক ভূঁইয়া তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন ‘আমরা গত ত্রিশ বছর ধরে আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে বাংলা ভাষার একটি বইমেলা করে চলেছি। গত দুই বছর কোভিড-১৯ এ সারা পৃথিবী ক্ষত-বিক্ষত। কিন্তু আমরা ২০২০ তে ভার্চুয়াল প্রথম বাংলা বইমেলা করে সারা পৃথিবীর বাংলা ভাষার লেখক পাঠকদের একইসূত্রে যুক্ত করার চেষ্টা করেছি।’ 


মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, একুশের গ্রন্থমেলা শুরু হয়েছে মুক্তধারার চিত্তরঞ্জন সাহার হাত ধরে। ১৯৯২ সালের পূর্বে বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গের বইরে কোথাও বাংলা বইমেলা হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। ইতিহাস, ইতিহাসই। আজ সারা পৃথিবীতে বাঙালি সাহিত্য-সংস্কৃতির যে প্রচলন শুরু হয়েছে তা ধারণ করতে হবে, যার প্রচলিত অর্থ হলো বই। সে বই শুধু হরফের অক্ষরে নয়, আমার মনেও লিখিত হতে পারে।


সভার বিশেষ অতিথি বিশিষ্ট নাট্যজন ও নিউ ইয়র্ক বাংলা বইমেলার উদ্বোধক রামেন্দু মজুমদার বলেন, বাংলা একাডেমির বই মেলার জন্য আমার যে আগ্রহ ও ভালোবাসা তেমনি নিউ ইয়র্ক বইমেলার জন্যও আমি আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করি। তিনি বলেন, বইমেলা ছাড়াও নিউ ইয়র্ক বাংলা বই মেলায় যেসব সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় তাও খুব হৃদয়গ্রাহী। এগুলো বাংলা সংস্কৃতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিগত ৩০ বছর ধরে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত বাংলা বই মেলার কথা তুলে ধরে বিশ্বজিত সাহা বলেন, সবার সহযোগিতা পেলে নিউ ইয়র্ক বইমেলা আরো সুন্দর ও বড় আকারে করা যাবে। প্রবাসে বাঙালি কৃষ্টি সংস্কৃতির প্রসারে তারা কাজ করে যাচ্ছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। 
মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন  লেখক আনোয়ারা সৈয়দ হক , শেখ রবিউল হক , আলমগীর শিকদার লোটন, আবু সাইদ শাহীন।  প্রকাশকদের  মধ্যে সময় প্রকাশনার স্বত্ত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ, অনন্যার মনিরুল হক, অঙ্কুর প্রকাশনীর মেসবাহউদ্দীন আহমেদ, শ্রাবণ প্রকাশনার রবীন আহসান, বই ঘরের মাধবচন্দ্র দাস, কাকলী প্রকাশনার একে নাসির আহমেদ সেলিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। তথ্য সূত্র বাসস।