News update
  • OIC Welcomes Independent Review Panel’s Report on UNRWA     |     
  • Train catches fire due to intense heat     |     
  • BNP expels 73 leaders for contesting first phase of UZ polls     |     
  • Chuadanga witnesses season’s highest temperature at 42.7°C     |     
  • Dhaka, Bangkok to work together to deal with Rohingya issue: FM     |     

বুধবার পর্দা উঠবে বইমেলার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক শিল্প-কারুশিল্প 2023-01-30, 10:57pm

resize-350x230x0x0-image-209748-1675088066-3a2a733f729bd0157db76123e702eda61675097844.jpg




বাঙালির প্রাণের উৎসব অমর একুশে বইমেলা-২০২৩ এর পর্দা উঠবে আগামী বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি)। করোনা মহামারির পর এবার যথাসময়ে ও বৃহৎ পরিসরে শুরু হতে যাচ্ছে বাঙালির সর্ববৃহৎ এ উৎসব। এ নিয়ে স্টল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে বইমেলা সংশ্লিষ্ট সকল কাজের প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ স্টলের কাজ শেষ। এখন শুধু বই ওঠানো বাকি। তবে কিছু কিছু স্টলের কাজ এখনও বাকি রয়েছে। সেগুলোর কাজ চলছে। এদিকে মেলা পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি শেষ বলে জানানো হয়েছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন এবারের বইমেলা। এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য- ‘পড় বই গড় দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।’

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করবেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো আবুল মনসুর। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন, বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা একাডেমি প্রকাশিত সাতটি নতুন বইয়ের গ্রন্থ উন্মোচন করবেন এবং বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২২ প্রদান করবেন।

সোববার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

এবার বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায়। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি ইউনিট অর্থাৎ মোট ১০১টি প্রতিষ্ঠানকে ৯০১টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৮টি প্যাভিলিয়ন থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলা একাডেমির পরিচালক ও বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, এবার বইমেলার আঙ্গিকগত ও বিন্যাসে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে গতবারের মূল প্রবেশপথ এবার একটু সরিয়ে বাংলা একাডেমির মূল প্রবেশপথের উল্টো দিকে অর্থাৎ মন্দির-গেটটি মূল প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। গতবারের প্রবেশপথটি বাহির-পথ হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। এ ছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্ত্বর এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউশন অংশে আরও ৩টি প্রবেশ ও বাহির-পথ থাকবে।

প্রতিদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার এবং সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলা একাডেমির ৩টি প্যাভিলিয়ন এবং শিশু-কিশোর উপযোগী প্রকাশনার বিপণনের জন্য ১টি স্টল থাকবে। প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে। অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি এবং সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজনও থাকবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে।

এবারের মেলা ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না।

ছুটির দিন বইমেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থা। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলা এলাকায় ৩ শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বইমেলা পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত থাকবে। মেলাপ্রাঙ্গণ ও দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি হয়ে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত এবং দোয়েল চত্বর থেকে শহীদ মিনার হয়ে টিএসসি, দোয়েল চত্বর থেকে চানখারপুল, টিএসসি থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে। মেলার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়মিত ধুলা নিবারণের জন্য পানি ছিটানো এবং প্রতিদিন মশক নিধনের সার্বিক ব্যবস্থা থাকবে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।