News update
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরালেন উপদেষ্টা ফারুকী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক শিল্প-কারুশিল্প 2024-11-13, 7:59pm

dgdsdfsf-559204ac3db0d89309064d8967b1ede71731506377.jpg




বঙ্গভবনের পর এবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকেও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়েছে। সচিবালয় থেকে তার ছবি সরানোর কাজটি করেছেন সদ্য দায়িত্ব নেয়া সংস্কৃতিবিষয়ক বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন শিবলী। তার স্ট্যাটাস থেকে জানা যায়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালায় থেকে ফ্যাসিবাদের আইকন শেখ মুজিবের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আর সচিবালয়ে প্রথম এ কাজটি করেছেন উপদেষ্টা ফারুকী।

শিবলীর স্ট্যাটাস থেকে আরও জানা যায়, উপদেষ্টা ফারুকী দোষেগুণে মেশানো একজন মানুষ। তবে তাকে ভরসা করেন শিবলী।

সময়ের পাঠকদের জন্য কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলীর সে স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো-

কবি নজরুল ইনস্টিটিউট হলো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে, সেই অর্থে আমার দফতরের মন্ত্রী বা উপদেষ্টা  হলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। দফতর প্রধান হিসেবে গতকাল আমি আমার দফতরের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। এটাকে ফারুকী হেটারসরা দোষ হিসেবে দেখছে। অসুবিধা নেই।

আমার সাথে ফারুীর সম্পর্ক ভাই ও বন্ধুর মতো। এই সম্পর্ক প্রায় ২৫ বছরের পুরাতন । ফারুকীর স্ত্রী তিশা ও তার ভাই ইথেন আমার ছোট ভাই-বোনের মতো। তাদের বাবা মা আমাকে সন্তানতুল্য আদর করতেন। সেই ফারুকী এখন কর্মসূত্রে আমার দফতরের মন্ত্রী। এই দুই সম্পর্কের কারণে আমার কাজের ক্ষেত্রটা অনেক সহজ হবে, এটাই স্বাভাবিক।

আমার কাছে নজরুল ইনস্টিটিউট কোনো চাকরির জায়গা না। নজরুল আমার সাংস্কৃতিক বিপ্লবের হাতিয়ার। যে হাতিয়ার দিয়ে আমি ফ্যাসিবাদের ন্যারেটিভের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নেমেছি। এই লড়াইয়ে আমার মতো ফারুকীও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

ফারুকী দোষেগুণে মেশানো একজন মানুষ। এই মন্ত্রণালয় চালানোর যোগ্যতা তার আছে। অতীতে তার ফ্যাসিবাদের সাথে ঘেঁষাঘেসির যেমন প্রমাণ আছে, তেমনি তাদের বিরোধিতা করারও প্রমাণ আছে। আমি খুব ভালো করেই জানি আওয়ামী ফ্যাসিসদের দ্বারা সে কেমন নিগৃহীত হয়েছে।

জুলাইয়ের তীব্র দিনগুলোতে আমরা যখন অসহায়ের মত দেশের সেলিব্রিটি বুদ্ধিজীবীদের সমর্থনের আশায় তাকিয়ে ছিলাম, তখন ২/১ জন ছাড়া আর কাউকে আমাদের পাশে পাইনি। সেই জুলাইয়ে ২/১ জনের মধ্যে ফারুকী ছিলেন একজন। ফারুকীর সেই সময়ের স্ট্যাটাসগুলো অনেক তরুণকে সাহস জুগিয়েছে।

অনেকের মতো সে চুপ থাকেনি। নিশ্চিত নিরাপত্তার জীবন ফেলে ফারুকী রিস্ক নিয়েছিল। জুলাই আন্দোলন ফেইল করলে আমাদের অনেকের মতো ফারুকীর পরিণতিও ভয়াবহ হতো। আমি ফারুকীর জুলাইয়ের ভূমিকার জন্য তার অতীত ভুলতে রাজি আছি। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ ক্ষমাশীল।

আর এখন থেকে ভবিষ্যতের ফারুকী তো আমাদের নাগালের মধ্যেই থাকবে। আমি ইনসাফ থেকে কখনই নড়ব না ইনশাআল্লাহ। ফারুকী যতক্ষণ ইনসাফের উপর থাকবে ততক্ষণই সে আমার নেতা। ইনসাফ থেকে সরে দাঁড়ালে সবার আগে আমিই তার বিরুদ্ধে দাঁড়াব। ইনসাফের প্রশ্নে আমি কারো পরোওয়া করি না।

মনে রাখবেন আমি এই কথা যার জন্য বলছি, পদাধীকার বলে তিনি এখন আমার বস। এবং তিনি আমার বন্ধু তালিকায় আছেন। গতকালের ছবিতে যারা আমাদের মাথার উপর শেখ মুজিবের ছবি দেখেছেন, তাদের জানার জন্য বলছি যে –ফারুকী আজ তার অফিস তথা সংস্কৃতি মন্ত্রলায় থেকে ফ্যাসিবাদের আইকন শেখ মুজিবের ছবি সরিয়ে ফেলেছেন। সম্ভবত সচিবালয়ে এই কাজ ফারুকীই প্রথম করলেন।

দায়িত্বপ্রাপ্ত ফারুকীর মধ্যে আমি সেই স্পিরিট দেখেছি – সে আমাদের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখবে ইনশাল্লাহ। আমরা একটু অপেক্ষা করি আর তার কর্মের দিকে তাকিয়ে থাকি। আমি সর্বদা আপনাদের ভালো পরামর্শ  তার কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য আপনাদের সাথে আছি। আমাকে ভুল বোঝার দরকার নাই।

প্রসঙ্গত, বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রথম শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়। এরপর একে একে  বিভিন্ন দফতর থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো শুরু হয়। এখন পর্যন্ত পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত অন্তত শেখ মুজিবের ছয়টি ছবি সরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।