News update
  • Decision to increase age limit for govt jobs up to PM : Minister     |     
  • BNP urges voters to boycott upazila polls     |     
  • Kenya floods death toll at 228 as crisis persists     |     
  • Floods in Brazil kill at least 57, force 70,000 from homes     |     
  • Sundarbans fire: Low tide delaying dousing operation     |     

নির্বাচন কমিশন নয়, নির্বাচন কালীন সরকার ব্যবস্থাই জটের কেন্দ্রবিন্দু

সংগঠন সংবাদ 2021-12-31, 5:07pm

muslim-league-executive-committee-meeting-31-dec-2021-806c6a74260b3c419b1cc4f4f0c8fe0f1640948843.jpg

Muslim League Executive Committee meeting 31 Dec 2021



ক্ষমতাসীন অবস্থায় নির্বাচন করে পরাজিত হওয়ার নজীর এই দেশে ১৯৫৪ সালের পরে আর একটিও ঘটেনি। বারবার ক্ষমতাসীনদের নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ও প্রমাণ থেকে সৃষ্ট সন্দেহ এবং অবিশ্বাস, রাজনৈতিক দলগুলোকে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে বাধ্য করেছিল। আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদেরই অর্জিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটি সর্ব-মহলের আপত্তি ও প্রতিবাদ সত্ত্বেও বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ২০০৮সালে ক্ষমতায় আসার পর বাতিল করে দেন। পরবর্তীতে  ভোটার বিহীন নির্বাচন, মধ্যরাতের ভোট, কার্যকরী বিরোধী দল শূন্য সংসদ ইত্যাদির সাথে যুক্ত হয়েছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সংস্কৃতি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে কৃত্রিম পরিস্থিতি তৈরি করে, সম্ভাব্য প্রার্থীদের কোণঠাসা করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সর্বনাশা রাজনৈতিক চর্চা এখন স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করে দিচ্ছে। ফলাফল বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই যোগ্য জনসেবকদের স্থলে ক্ষমতাসীনদের ধামাধরা আর তল্পিবাহক অযোগ্য- অজনপ্রিয় মানুষ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে দেশের রাজনীতিকে তৃনমূল থেকেই শেষ করে দিচ্ছে। এরকম অবস্থায় সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনে স্থায়ী আইন প্রবর্তনের দিকে না গিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কমিশন গঠনের জন্য সংলাপ করছেন যা বর্তমান রাজনৈতিক জটিলতার কোন সমাধান নয়। ইতিপূর্বে এ ধরনের সংলাপের মাধ্যমে সার্চ কমিটি গঠন করে দুটি নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে যারা কার্যত দেশের সম্পূর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে চরমভাবে বিতর্কিত হয়েছেন। সুতরাং নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন এবং জনগণের নিকট গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কালীন সরকার ব্যবস্থাই চলমান রাজনৈতিক জটিলতার অবসান ঘটাতে সক্ষম বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ মুসলিম লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ৩০ডিসেম্বর ২০২১ তারিখের পল্টনস্থ ফেনী সমিতি মিলনায়তনে সকাল ১০.০০টায় অনুষ্ঠিত মুলতুবী-কৃত সভা আজ (৩১ ডিসেম্বর,২০২১) বেলা দশ টায় দলীয় প্রধান কার্যালয়ে সম্পন্ন হয়। দলীয় সভাপতি এ্যাড. বদরুদ্দোজা সুজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী এই সভায় উপরোক্ত মতামত ব্যক্ত করেন দলীয় নেতৃবৃন্দ। আরও বক্তব্য রাখেন নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার, মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম, শরীয়তপুরের আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এ্যাড. আশরাফুল আলম নড়াইলের নজরুল ইসলাম, ময়মনসিংহের আকবর হোসেন পাঠান ও হাসমতউল্ল্যাহ শেখ, বাগেরহাটের খান আসাদ, নোয়াখালীর এ্যাড. জসিমউদ্দিন, ফেনীর কাজী এ.এ কাফী, কুষ্টিয়ার আব্দুল খালেক, চট্টগ্রামের লিয়াকত হোসেন ও মাওলানা জহিরুল আনোয়ার, বরিশালের মাওঃ কারামত ফরাজী, বগুড়ার মাও: রফিকুল ইসলাম, খুলনার ওয়াজির আলী মোড়ল, চাঁদপুরের আফতাব হোসেন স্বপন, যশোরের শেখ আব্দুল কাইয়ূম, দিনাজপুরের আলিমউদ্দীন, কুড়িগ্রামের খাইরুল আলম, ঝালকাঠির এ্যাড. আবু সাইদ মোল্লা, মানিকগঞ্জের আফতাব হোসেন মোল্লা, ঢাকার ইঞ্জি: ওসমান গনী ও ডা: হাজেরা বেগম, নারায়ণগঞ্জের মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, ঝিনাইদহের ইঞ্জি: শহিদুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁয়ের মো: রফিকুল ইসলাম, বরগুনার মিয়া মোঃ আল-আমিন,লালমনিরহাটের বাদশা মিয়া, মাদারীপুরের আবুল কাশেম হাওলাদার,পাবনার মহিউল আলম শেলী, সিরাজগঞ্জের আবদুল আলিম, পিরোজপুরের এ্যাড. হাবিবুর রহমান প্রমুখ প্রমুখ। সভায় ইতিমধ্যে দলের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়। এছাড়া বিগত ওয়ার্কিং কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ অনুমোদনের পাশাপাশি বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, পরবর্তী কাউন্সিল ও সাংগঠনিক বিষয়াদি নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।

বার্তা প্রেরক - কাজী এ.এ কাফী’ অতিঃ মহাসচিব - ০১৮১৭০১৪৪৪০