News update
  • Fire breaks out at jacket factory in Chattogram     |     
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     
  • Imported fruit prices surge by up to Tk 100 per kg     |     
  • 35% of air pollution in BD originates from external sources: Experts     |     

জাতীয় ঐক্য তৈরিতে প্রথম কর্মসূচি দিলো নাগরিক কমিটি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংগঠন সংবাদ 2024-09-15, 8:19am

img_20240915_081957-834cadbc2140ab2f055d417da0c598db1726366815.jpg




দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র পুনর্গঠনে সব রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে জাতীয় ঐক্য তৈরিতে কাজ করতে সচেষ্ট রয়েছে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটি।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক কমিটি এমন অভিপ্রায় তুলে ধরে।

কমিটির তরফ থেকে বলা হয়, তারা এমন এক ঐক্য গঠন করতে চান যে ঐক্যের ওপর দাঁড়িয়ে শোষণহীন, বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক একটি বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা যাবে। নতুন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করতে আত্মপ্রকাশ করা জাতীয় নাগরিক কমিটি প্রথম কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তাদের পেশ করা আট দফা বাস্তবায়নে সারা দেশে জনসংযোগ কার্যক্রম শুরু করেন দলের আহ্বায়করা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমীন। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও আমাদের মধ্যে কোনো ইস্যুতেই জাতীয় ঐক্য নেই। সকল কিছু নিয়েই আমরা দ্বিধা-বিভক্ত। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের মতো প্রাথমিক রাষ্ট্রীয় কাজও এখানে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এখনও ন্যূনতম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব হয়নি। পাঁচ বছর পর পর ক্ষমতা হস্তান্তর হবে কী প্রক্রিয়ায় তা নিয়েই এতদিনে কোনো ঐক্যে পৌঁছানো যায়নি।’

ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে কিন্তু ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার এখনও বিলোপ হয়নি মন্তব্য করেন সামান্তা শারমীন।

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ স্রেফ একটি সরকার নয়। এটি একটা ব্যবস্থা। যা বিভিন্ন আইন, প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক-সামাজিক-অর্থনৈতিক চর্চার মাধ্যমে টিকে থাকে। আমরা সেই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ চাই। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরিতে কাজ করবে নাগরিক কমিটি। এমন একটি বন্দোবস্ত আমরা তৈরি করতে চাই, যাতে সামনের দিনে কোনো সরকারপ্রধানকে শেখ হাসিনার মত পালিয়ে যেতে না হয়।’

সংবাদ সম্মেলনে কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন বক্তব্য রাখেন।

রাষ্ট্র পুনর্গঠন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও ‘নতুন বাংলাদেশের’ রাজনৈতিক বন্দোবস্ত সফল করার লক্ষ্যে গত ৮ সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ করে এই নাগরিক কমিটি। ৫৫ সদস্যের এ কমিটির আহ্বায়ক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এবং সদস্য সচিব গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক আখতার হোসেন। শনিবারের সংবাদ সম্মেলেনে নাগরিক কমিটি ঘোষিত ৮ দফা বাস্তবায়নে শিগগির সারাদেশে জনসংযোগ কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংগঠনের সদস্য সচিব আখতার হোসেন সংবাদ সম্মেলনে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’ এর কার্যক্রম ও কমিটি স্থগিত করার কথা তুলে ধরে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়ে এবং আন্দোলনের সঙ্গে একীভূত হয়ে যায়। আন্দোলন শুরুর পর থেকে ছাত্রশক্তি স্বনামে আর কোনো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেনি এবং আমাদের ফেইসবুক পেইজেও কোনো অ্যাক্টিভিটিজ ছিল না। গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি এই আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।

আখতার হোসেন আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে ছাত্রশক্তির দুজন দায়িত্বশীল- কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব নাহিদ ইসলাম ও ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হন। একই সাথে ছাত্র রাজনীতির রূপরেখা কী হবে তা নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে আমরা অভ্যন্তরীণভাবে সিদ্ধান্ত নেই যে, ছাত্রশক্তির সকল কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে এবং কার্যক্রম স্থগিত করা হবে। সেই জায়গা থেকেই আমরা সকল কার্যক্রম স্থগিত করি। ছাত্রশক্তি ডিজলভ হয়ে গেছে, ছাত্রশক্তি স্থগিত হয়ে গেছে।

আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারী বলেন, আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন। তাদের যে স্বপ্ন সেটা বাস্তবায়ন করতে সময় দিতে হবে। সরকারকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি পর্যালোচনাও করতে হবে। তাদের বিষয়ে পর্যালোচনা আমরা জারি রাখব। তাদের কার্যক্রম শুরু হলে আমরা দেখব, এরপর কাজের পর্যালোচনা করে একটা সময় বেঁধে দেব।

সংগঠনের কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মুখপাত্র সামান্তা শারমীন বলেন, ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আরেকটি সুযোগ এসেছে। মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও অভিপ্রায়গুলোকে একত্রিত করেই আমরা আমাদের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করব। নতুন বন্দোবস্তে আমরা সকল রাজনৈতিক পক্ষকে সাথে নিয়ে তৈরি করতে চাই। বন্দোবস্ত তৈরিতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মতামত নেওয়ার কাজও করবে জাতীয় নাগরিক কমিটি। ৫ আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় মব জাস্টিস হতে দেখছি। মন্দিরে, মাজারে, বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তিগত পূর্ব শত্রুতার জের ধরেও আক্রমণ হতে দেখছি। এ ঘটনায় আমরা নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। আরটিভি নিউজ।