ইউক্রেনে আক্রমণকারী রুশ বাহিনীকে যুদ্ধক্ষেত্রে মোকাবেলা করতে প্রয়োজনীয় দক্ষতার প্রশিক্ষণ নিতে ইউক্রেনের সৈন্যরা ব্রিটেনে অবস্থান করছে। দেশ জুড়ে থাকা ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বেশ কয়েকটি স্থাপনায় অবস্থান করছেন ঐ ইউক্রেনীয়রা।
আশা করা হচ্ছে যে, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর তৈরি করা এই কর্মসূচিতে প্রায় ১০,০০০ ইউক্রেনীয় সেনা অংশগ্রহণ করবেন। এর মধ্যে প্রথম দফায় আনুমানিক ১,০০০ ইউক্রেনীয় বর্তমানে ব্রিটেনে রয়েছেন।
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেন, “ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিশ্বমানের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আমরা ইউক্রেনকে তাদের বাহিনী পুনর্গঠনে এবং তাদের প্রতিরোধ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করব, যখন কিনা তারা তাদের দেশের সার্বভৌমত্ব এবং নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেরা নির্ধারণের অধিকারটি রক্ষা করছে।”
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রও ইউক্রেনে আরও অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা পাঠাচ্ছে। ডনব্যাস অঞ্চল ও তার বাইরে রুশ বাহিনীর যুদ্ধ পরিচালনার সক্ষমতাকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে, তা ব্যাহত ও ধ্বংস করতে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে সহায়তার উদ্দেশ্যে এই সামরিক সহায়তাগুলো পাঠানো হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা শুক্রবার ইউক্রেনের জন্য ৪০ কোটি ডলারের এক নতুন প্যাকেজের ঘোষণা দেন। এর মধ্যে অতিরিক্ত আরও চারটি হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেমস (হাইমার্স) এবং ১,০০০ রাউন্ড ১৫৫ মিলিমিটার “নির্ভুলভাবে আঘাতে সক্ষম” আর্টিলারির গোলা রয়েছে। এর আগে এ ধরণের গোলা ইউক্রেনকে দেওয়া হয়নি।
পেন্টাগনের আরোপিত নিয়ম অনুযায়ী, পরিচয় গোপন রাখার শর্তে সংবাদকর্মীদের সাথে আলাপকালে, যুক্তরাষ্ট্রের এক ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, “এগুলো [সমরাস্ত্র ব্যবস্থাগুলো] নির্ভূলভাবে আঘাতে সক্ষম।” তিনি আরও বলেন, “ইউক্রেনীয়দের এখনও পর্যন্ত সফলতা দেখে আমরা আশা করছি যে এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে ইউক্রেনীয়রা ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারবে।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি এই সামরিক সরঞ্জামগুলোর জন্য টুইটারে বাইডেন প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। এগুলোকে তিনি অগ্রাধিকারমূলক প্রয়োজন হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।