তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যবর্তী রেখা অতিক্রম করে চীন শুক্রবার আরও যুদ্ধবিমান ও জাহাজ পাঠিয়েছে বলে, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা সতর্ক করেছেন যে, চীন এই কৌশলগত জলপথের স্থিতাবস্থা ঝুঁকিতে ফেলছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলে, তাইওয়ান প্রণালীতে দ্য পিপল’স লিবারেশন আর্মি ৬৮টি বিমান এবং ১৩টি জাহাজ পাঠায়, “যেগুলোর কিছু কিছু মধ্যবর্তী রেখা অতিক্রম করে এবং প্রণালীর স্থিতাবস্থাকে ঝুঁকিতে ফেলে।”
এটি পরপর দ্বিতীয় দিন যখন চীনের বিমান ও জাহাজ মধ্যবর্তী রেখা অতিক্রম করেছে। ঐ রেখাটিই চীন ও তাইওয়ানের মধ্যকার বস্তুত প্রকৃত জলসীমানা।
দ্বীপটির চারিদিকে ছয়টি নির্দিষ্ট এলাকায় চারদিনব্যাপী সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন। এই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে এই মহড়া করা হচ্ছে।
তবে, এই মহড়া, হিসেবে ভুল হয়ে যেতে পারে এমন আশংকা বাড়িয়ে তুলছে। যদিও, এখনও পর্যন্ত তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন যে, পরিস্থিতির উত্তেজনা বৃদ্ধির কোন ইচ্ছা তাদের নেই।
শুক্রবার, তাইওয়ানের উত্তর, দক্ষিণ-পশ্চিম ও পূর্ব দিকে চীনের সামরিক বাহিনী সমুদ্রে ও আকাশে যুদ্ধের মহড়া দিয়েছে। পিপল’স লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের সামাজিক মাধ্যমের এক পোস্ট থেকে এমন তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
এর একদিন আগে তাইওয়ানের উপকূলের কাছাকাছি সমুদ্রে, চীন অন্তত ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। অন্তত চারটি ক্ষেপণাস্ত্র তাইওয়ানের উপর দিয়ে উড়ে চলে যায় বলে, জাপানের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানান। অনেক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকই একে নজিরবিহীন উস্কানি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।
পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র সমুদ্রে জাপানের নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চলে আছড়ে পড়ে। এর বিরুদ্ধে জাপান কঠোর নিন্দা জানিয়েছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা শুক্রবার পেলোসির সাথে সাক্ষাতের পর বলেন, “এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা সহ বিশ্বের উপরও চীনের [এমন] আচরণের গুরুতর প্রভাব রয়েছে।” পেলোসির নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলটি তাদের এশিয়া সফরের শেষ বিরতিতে টোকিও যায়। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।