News update
  • Body of Osman Hadi Returns to Dhaka From Singapore Late     |     
  • Fakhrul condemns attacks on media, calls for unity, justice     |     
  • 2 cops among 4 hurt in clash outside Indian Assit H.C. in Ctg     |     
  • Inqilab Moncho urges people to avoid violence     |     
  • Hadi’s death: Prothom Alo, Daily Star offices set afire      |     

ইউক্রেন যুদ্ধ: দু’পক্ষই গোলাবারুদ সংকটে ভুগছে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2022-09-10, 8:55am




বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়ার আক্রমনের পর, পশ্চিমাদের সামরিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ইউক্রেন। এদিকে, মস্কোর শেয়ার বাজারের বেহাল দশা এবং বিধিনিষেধের বেড়া জালে রয়েছে রাশিয়া। উভয় দেশই তাদের গোলা, বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ ফুরিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সমন্বয়কারী জন কার্বি সম্প্রতি সংবাদদাতাদের জানান, মস্কোর ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে ‘উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে কামানের গোলা কিনতে বাধ্য হচ্ছে।’ এসময় তিনি উত্তর কোরিয়া থেকে লাখ লাখ রাউন্ড গুলি, রকেট ও কামানের গোলা সংগ্রহ বিষয়ক চুক্তির দিকে ইঙ্গিত করেন।

এদিকে, ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে, “খুব সম্ভবত রাশিয়া তাদের ড্রোনের মজুদ বজায় রাখতে সমস্যায় পড়ছে।” উল্লেখ্য, ক্রেমলিন ক্রমাগত ইরানের কাছ থেকে ড্রোন কিনছে।

দুই পশ্চিমা দেশ ও কিয়েভের দাবি, রাশিয়া সরবরাহ ব্যবস্থার সমস্যায় ভুগছে। প্যারিসের সরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক পিয়েরে গ্রাসার বলেন, “মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী রাশিয়ার কাছে যথেষ্ট মজুদ ছিল।তবে যুদ্ধ, প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় ধরে চলছে। আর, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হিমার্স রকেটের আঘাতে তাদের দৃশ্যপট পাল্টে দিচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “মস্কোকে যুদ্ধের উপকরণ সরবরাহ করার মতো তেমন কোনো মিত্র নেই। এমনকি তাদের নিজস্ব উৎপাদকদের সহায়তা করার মতোও কোন মিত্র নেই। চীন এখনও কূটনীতিক ক্ষেত্রের বাইরে অগ্রসর হতে চাইছেনা”।

তিনি আরও বলেন, “উত্তর কোরিয়াও একটি বিচ্ছিন্ন কমিউনিষ্ট দেশ। পিয়ংইয়ং-এরও সীমবদ্ধতা আছে। তারা খুব বেশি হলে কয়েক সপ্তাহের রসদ জোগানোর সক্ষমতা রাখে।”

জার্মানি ভিত্তিক ইন্সটিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমি (আইএফডব্লিউ) গত মাসে জানায়, “ইউক্রেনের জন্য নতুন আন্তর্জাতিক সহায়তাও জুলাই থেকে কমে গেছে”।

পুতিনের সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা আন্দ্রেই ইলারিওনভ জানান, “ইউক্রেনকে দেওয়া মাসিক সামরিক সহায়তা তিন শ’ কোটি ডলারের বেশি নয়। তবে ইউক্রেন ও এর মিত্রদের মাসিক খরচ সাতশ’ কোটি ডলারে মতো বলে প্রতীয়মান হয়। গত সপ্তাহে বুখারেস্টে নিউ স্ট্র্যাটেজি সেন্টার আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

গ্রাসার বলেন “সামরিক শক্তিমত্তার দিক দিয়ে দুই দেশ এখন সমতাবস্থায় আছে। ইউক্রেনের কাছে রাশিয়ার চেয়ে কম অস্ত্র আছে, কিন্তু সেগুলো রুশ অস্ত্রের তুলনায় অনেক বেশি নির্ভুল।” তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।