ইরানে দোকানদার ও কারখানার শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করেছেন বলে, সক্রিয়বাদিরা জানিয়েছেন। এদিকে, পুলিশি হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর শুরু হওয়া দেশব্যাপী বিক্ষোভ ষষ্ঠ সপ্তাহে গড়িয়েছে।
ইরানে সাপ্তাহিক ছুটির পর শনিবার সপ্তাহ শুরু হলে,সক্রিয়কর্মীরা নতুন করে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। তবে, ইন্টারনেটে বিধিনিষেধ আরোপের ফলে বিক্ষোভে যোগ দেওয়া মানুষের সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে অনুমান করা কষ্টকর হয়ে পড়ে।
দ্য ১৫০০-তাসভির নামের সামাজিক মাধ্যমের একটি চ্যানেল এএফপি-কে বলে যে, “কয়েকটি শহরে হরতাল হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সানানডাজ, বুকান ও সাকেজ”। চ্যানেলটি আরও বলে যে, “ইন্টারনেট সংযোগ খুব ধীরগতির হওয়ায়” অনলাইনে বিক্ষোভের প্রমাণ দেখা দুষ্কর।
নরওয়ে ভিত্তিক হেনগ্য অধিকার গোষ্ঠীটি জানিয়েছে যে, বুকান, সানানডাজ ও সাকেজ-সহ মারিভান-এও দোকানিরা ধর্মঘট পালন করেছেন।
তাসভির১৫০০ এর শনিবার টুইট করা এক ভিডিওচিত্রে দেখা যায় যে তেহরানের শহীদ বেহেশতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে ডজনকয়েক শিক্ষার্থীকে হাততালি দিতে ও স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
এছাড়াও, অ্যাকাউন্টটি থেকে শেয়ার করা অন্য আরেক ফুটেজে, পূর্ব আজেরবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজ-এ অবস্থিত আইদিন চকলেট কারখানার বাইরে ডজনকয়েক শ্রমিককে সমবেত হতে দেখা যায়।তবে, এএফপি তাৎক্ষণিকভাবে ভিডিও চিত্রগুলো যাচাই করতে সক্ষম হয়নি।
এদিকে, ইরানের শিক্ষকদের একটি ইউনিয়ন দমনপীড়নের প্রতিবাদে রবিবার ও সোমবার দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে এমন দমনপীড়নে অন্তত ২৩ জন শিশুকে জীবন দিতে হয়েছে।
এক বিবৃতিতে, দ্য কোঅর্ডিনেটিং কাউন্সিল অফ টিচার্স সিন্ডিকেটস বলে যে, বিদ্যালয়গুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর “নিয়মতান্ত্রিক দমন-পীড়নের ” প্রতিক্রিয়া হিসেবে “অবস্থান কর্মসূচি” পালন করা হবে।
তারা চারজন কিশোর-কিশোরীর নাম প্রকাশ করেছে, যারা উল্লিখিত দমনপীড়নে মারা গেছে। ঐ চারজন হল, নিকা শাহকারামি, সারিনা ইসমাইলজাদেহ, আবুল ফজল আদিনেজাদেহ ও আসরা পানাহি। শিক্ষকদের ইউনিয়নটি আরও বলেছে যে, কোন অভিযোগ ছাড়াই বিপুল সংখ্যক শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।