ইউক্রেনের কর্মকর্তারা সারা দেশে ব্যাপক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছেন। বেসামরিক নাগরিকদেরকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলার জন্য বিমান হামলার সাইরেন বেজে উঠেছিল।
বাড়িঘর, ভবন এবং বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর ওপর নতুন দফার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, যা ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশিত ছিল, তীব্র শীতে ইউক্রেনকে জ্বালানি, তাপ এবং পানিবিহীন অবস্থায় দুর্বল করে ফেলার রুশ কৌশল তুলে ধরে।
রাষ্ট্রীয় গ্রিড অপারেটর ইউক্রেনারগো নিশ্চিত করেছে যে, রাশিয়া জ্বালানি অবকাঠামো স্থাপনাগুলোতে আঘাত করেছে, যার ফলে ইউক্রেনে জরুরি বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে।
তবে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ ব্যবস্থা কার্যকর এবং অক্ষত রয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল।
রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফলে সৃষ্ট চাপ প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, মস্কোর পক্ষে ইউক্রেনের সাথে চলমান যুদ্ধকে এগিয়ে নেয়ার জন্য তাদের অস্ত্রশস্ত্র পুনরায় সরবরাহ করা আরও কঠিন করে তুলছে।
ব্লিংকেন ইউক্রেনীয় জনগণের মনোবল ক্ষুণ্ণ করার জন্য সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনীয় জ্বালানি এবং পানি সরবরাহকে লক্ষ্য করে দফায় দফায় রাশিয়ার বিমান হামলাকে দেশটির “শীতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার প্রচেষ্টা” বলে অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এটি সত্যিই বর্বরোচিত।”
রবিবার রাশিয়ার জ্বালানি প্রধান, উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক বলেছেন, মস্কো পশ্চিমা প্রাইস ক্যাপ অনুযায়ী তেল বিক্রি করবে না, এমনকি যদি তাদের উৎপাদন কমাতে হয় তবু।
নোভাক শীর্ষস্থানীয় শিল্পোন্নত দেশগুলোর সংস্থা জি-৭ এবং অস্ট্রেলিয়ার দ্বারা আরোপিত প্রতি ব্যারেল ৬০ ডলারের মূল্যসীমাকে বিশ্ব জ্বালানি বাণিজ্যে স্থূল হস্তক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা সরবরাহের ঘাটতি সৃষ্টি করতে পারে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।