সম্প্রতি অল্প সময়ের ব্যবধানে এবং ধারাবাহিকভাবে উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েকবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের যৌথ সামরিক মহড়ার গতি ও বিস্তার বাড়াবে এবং একইসঙ্গে দুই পক্ষের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিজেদের মধ্যে তথ্য ভাগাভাগি করে নেওয়ার প্রক্রিয়াটিরও সম্প্রসারণ করবে বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লি জং-সাপ গত এক বছর ধরে চলতে থাকা পিয়ংইয়ংয়ের নজিরবিহীন উসকানিমূলক আচরণের বিরুদ্ধে আরও বলিষ্ঠ প্রতিক্রিয়া দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সোওলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রকে আয়োজিত এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর অনুষ্ঠিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অস্টিন দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের নিশ্চয়তা দেন, এ বিষয়ে ওয়াশিংটনের অঙ্গীকার দৃঢ় রয়েছে এবং পেন্টাগন তাদের দীর্ঘদিনের মিত্রকে সুরক্ষা দিতে ‘যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সদ্ব্যবহার করবে, যার মধ্যে প্রথাগত, পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত’।
অস্টিন ও লি আরও জানান, এই দু’টি দেশ আগামী মাস থেকে কাগজে-কলমে অনুশীলনের পাশাপাশি বাড়তি মহড়া ও প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাবে।
এ মুহূর্তে দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ২৮,৫০০ সেনা মোতায়েন রয়েছে। তবে পিয়ংইয়ংয়ের যুদ্ধংদেহী মনোভাব দক্ষিণ কোরিয়ায় উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, যার ফলে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এ মাসের শুরুতে মত প্রকাশ করেন, ওয়াশিংটনকে হয়তো কোরীয় উপদ্বীপে আবারও পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করতে হবে। এছাড়াও, তিনি জানান, সিউলেরও নিজস্ব পারমাণবিক অস্ত্র সম্ভার গড়ে তোলার প্রয়োজন হতে পারে।
লির সঙ্গে বৈঠকের পর মঙ্গলবার অস্টিন, প্রেসিডেন্ট ইউনের সঙ্গে দেখা করেন। তবে এ বিষয়ে ২ জনের কেউই সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি।
এটা ছিল অস্টিনের দক্ষিণ কোরিয়ায় তৃতীয় সফর এবং লি’র সঙ্গে চতুর্থ বৈঠক।
বৈঠকের পরে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই দেশ জাপানের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতামূলক তথ্য ভাগাভাগি করে নেওয়ার বিষয়টিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার ঝুঁকি মোকাবিলায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।