ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি শনিবার তার দৈনিক ভাষণে বলেছেন, রাশিয়া “সন্ত্রাসের সমার্থক হয়ে উঠেছে এবং এই সন্ত্রাসের জন্য রাশিয়া পরাজয় এবং ন্যায্য শাস্তি প্রাপ্তির উদাহরণ হয়ে থাকবে।”
জেলেন্সকি বলেছেন, শনিবার রাশিয়ার গোলাবর্ষণ “যারা কেবল মুদি সদাই কিনতে একটি দোকানে গিয়েছিল খেরসনের তেমন মানুষদের জীবন সংহার করেছে। তিনজন ইউক্রেনীয় মারা গেছে।”
জেলেন্সকি বলেছেন, ২৮০টির বেশি কোম্পানি এবং ১২০ জন মানুষ যারা “জুয়া ব্যবসার স্কিমগুলোর মাধ্যমে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে কাজ করেছে, আমাদের দেশ থেকে তহবিল প্রত্যাহার করেছে এবং বিভিন্ন রুশ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে” তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার একটি ডিক্রি প্রকাশিত হয়েছে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক রবিবার ইউক্রেনের ওপর তাদের গোয়েন্দা আপডেটে বলেছে, রাশিয়া “ ব্যাপক হতাহতের” সম্মুখীন। কিন্তু তার প্রভাব মস্কো এবং সেন্ট পিটার্সবার্গের ধনী শহরগুলোতে অনুভূত হচ্ছে না। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বরং পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় জনসংখ্যার শতাংশ হিসেবে মৃত্যুর হার “মস্কোর তুলনায় ৩০-৪০ গুণ বেশি।”
মন্ত্রকের মতে, জাতিগত সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে। দক্ষিণ আস্ট্রাখান অঞ্চলে হতাহতের প্রায় ৭৫ শতাংশ সংখ্যালঘু কাজাখ এবং তাতারদের মধ্যে।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক ইন্সটিটিউট ফর দ্য স্টাডিজ অফ ওয়ার (আইএসডব্লিউ) অনুসারে, রাশিয়ার জন্য ক্রমবর্ধমান হতাহতের ঘটনা মস্কোতে প্রভাব ফেলছে এবং দেশের তথ্য ক্ষেত্রের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ হারানোর ব্যাপারটি প্রতিফলিত হচ্ছে।
ব্রিটিশ মন্ত্রক বলেছে, রাশিয়া তার সামরিক কর্মী বৃদ্ধির উপায়গুলো সন্ধান করছে এবং “রুশ সমাজের আরও সচ্ছল এবং প্রভাবশালী অংশগুলোকে নিরোধ করা সম্ভবত একটি প্রধান বিবেচ্য বিষয় হবে।” তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।