ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু 'হামাসকে ধ্বংস' করার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি প্রথমবারের মত যুদ্ধ সংক্রান্ত জরুরি মন্ত্রীসভার সাথে বৈঠক করেন। সেখানে বিরোধী আইনপ্রণেতা বেনি গ্যান্টজ ছিলেন। নেতানিয়াহু বলেন এটি জাতীয় ঐক্যের প্রতিফলন।
গাজায় হামাস জঙ্গীদের নিধনের লক্ষ্যে সম্ভাব্য স্থল অভিযানের আগে সীমান্তে ৩ লক্ষ ইসরাইলি সেনার সমাবেশ ঘটানো হয়েছে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, হামাস গাজার বেসামরিক নাগরিকদের উত্তরাঞ্চল থেকে সরে যেতে বাধা দিচ্ছে।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফিলিস্তিনের জাতীয় কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে গাজায় জরুরি মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেছেন।
পেন্টাগন জানিয়েছে, “ইসরাইলের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে” যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী পাঠাচ্ছে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজা শহর ও উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নির্দিষ্ট রুটে সরে যাওয়ার জন্য সতর্ক করার পর তাদের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গেছে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর আন্তর্জাতিক মুখপাত্র রবিবার গাজা থেকে পাওয়া খবরের 'সত্যতা' সম্পর্কে সতর্ক থাকতে সাংবাদিক ও অন্য সবাইকে সতর্ক করেছেন।
ব্রিফিংকালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস গাজার দক্ষিণাঞ্চলে চলাচলকারী যানবাহনে বিস্ফোরণের একটি ভিডিও প্রদর্শন করে ইসরাইল ওই এলাকায় হামলা চালায়নি বলে দাবি করেন।
কনরিকাস, গাজার বেসামরিক গাড়িবহরকে দক্ষিণে যেতে বাধা দেওয়ার জন্য হামাসের অবরোধের ফুটেজও দেখিয়েছেন। ভয়েস অফ আমেরিকা কনরিকাস প্রেস ব্রিফের সময় উপস্থাপিত চিত্রগুলি সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
আইডিএফের মুখপাত্র আরও বলেন, হামাস জনগণকে ঘরে থাকার এবং সরে না যাবার আহ্বান জানিয়েছে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর উত্তর গাজার বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যাওয়ার সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ব্যাপক স্থল হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইল।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।