News update
  • UN Assembly Urges Decisive Action to Resolve Israel-Palestine Conflict     |     
  • Sediment-borne fertility transforms northern Bangladesh     |     
  • 3 Armed Forces Chiefs, Jamaat Ameer visit Khaleda Zia at Hospital     |     
  • Army, Navy, Air Chiefs Visit Khaleda Zia at Dhaka Hospital     |     
  • EU, BDRCS, IFRC Partner to Strengthen Recovery of July Uprising Survivors     |     

গাজায় অ্যাম্বুলেন্স বহরে ইসরায়েলি হামলা; উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ প্রধান

গ্রীণওয়াচ ডেক্স সংঘাত 2023-11-04, 6:17pm

image-113023-1699092603-a5fb1dabc622feb910a317a4508e015d1699100251.jpg




গাজায় একটি অ্যাম্বুলেন্স বহরের ওপর শুক্রবার ইসরায়েলি হামলায় জাতিসংঘ প্রধান উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এ যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।’

ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বলেছে, গাজা নগরীর এক হাসপাতালের প্রবেশদ্বার থেকে মাত্র কয়েক ফুট দূরে একটি অ্যাম্বুলেন্সের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ১৫ জন নিহত ও ৬০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।

আন্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গাজায় আল শিফা হাসপাতালের বাইরে একটি অ্যাম্বুলেন্সের বহরে হামলার খবরে আমি শঙ্কিত। হাসপাতালের বাইরে রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মৃতদেহের ছবি অত্যন্ত বেদনাদায়ক।’ খবর এএফপি’র।

শুক্রবারের হামলার ঘটনাস্থলে এএফপি’র এক সাংবাদিক হাসপাতালের বাইরে ইসরায়েলি বোমা হামলা থেকে বাঁচতে আশ্রয় নেওয়া বেসামরিক ব্যাক্তি ও আহতদের ভিড়ের মাঝে ক্ষতিগ্রস্ত অ্যাম্বুলেন্সের পাশে একাধিক মৃতদেহ দেখেছেন বলে জানান।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের অবস্থানের কাছাকাছি হামাসের সামরিক শাখা ব্যবহারকারি হিসেবে চিহ্নিত একটি অ্যাম্বুলেন্সের ওপর তারা বিমান হামলা চালিয়েছে।

জাতিসংঘ প্রধান আরো বলেন, ‘প্রায় এক মাস ধরে, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগ নারী ও শিশু। অবরোধ আরোপ করে গাজার জনগণের জন্য পাঠানো সাহায্য বন্ধ রেখেছে ইসরায়েল। তাদের ঘরবাড়ি ও ধ্বংস করা হয়েছে।

তিনি সতর্ক করেন যে, সেখানে খাদ্য, পানি ও ওষুধ, পর্যাপ্ত নয় এবং হাসপাতালের বিদ্যুত সরবরাহের জ্বালানি ও পানির সরবরাহ শেষ হয়ে যাচ্ছে। গাজার মানবিক পরিস্থিতি ‘ভয়াবহ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ যুদ্ধ অবশ্যই থামাতে হবে।

গুতেরেস বলেন, গাজায় ধারণ ক্ষমতার প্রায় চারগুণ বেশি জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলো বোমা হামলার শিকার হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘মর্গে মৃতদেহ উপচে পড়ছে। দোকানপাট খালি। স্যানিটেশন পরিস্থিতি খুবই খারাপ। কোথাও কেউ নিরাপদ নয়, বিশেষকরে শিশুদের মধ্যে রোগ ও শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা বেড়ে যাচ্ছে।’ 

গুতেরেস ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় তাদের হাতে জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য ও যুদ্ধবিরতির পুনরায় আহ্বান জানান।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, ফিলিস্তিনিদের ওই হামলায় ১৪শ’র ও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগ বেসামরিক নাগরিক। 

ফিলিস্তিনী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় প্রতিশোধমূলক বোমাবর্ষণ করে  ৯ হাজার ২শ’ জনেরও বেশি মানুষ হত্যা করেছে।

গুতেরেস আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আবারও সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বাসস।