ফিলিস্তিনের গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে দৈনিক চার ঘণ্টার বিরতিতে রাজি হয়েছে দখলদার ইসরায়েল।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। খবর আলজাজিরার।
জন কিরবি বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি শুরুর তিন ঘণ্টা আগে এই বিষয়ে প্রত্যেক দিন ঘোষণা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ইসরায়েলি সেনাদপ্তর থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, বিরতির সময় গাজার উত্তরাঞ্চলে কোনো সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হবে না এবং এই প্রক্রিয়াটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। আমরা এটা জেনে আনন্দিত।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী এই পদক্ষেপ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান জন কিরবি।
তিনি বলেন, বিরতির সময় গাজা উপত্যকায় প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা পরিবহনের অনুমতি থাকবে। পাশাপাশি গাজার বাসিন্দাদের ক্ষতিকর পথ থেকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করবে এই বিরতি।
হোয়াইট হাউসের আরও বলেন, উত্তর গাজায় চার ঘণ্টার বিরতি কার্যকরে ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্ত ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ।’ আমরা অবশ্যই যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন এই বিরতি অব্যাহত থাকবে বলে দেখতে চাই।
যদিও গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পক্ষে নয় বলে এর আগে মত দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তাদের দাবি ছিল, সেখানে যুদ্ধবিরতি দেওয়া হলে হামাস পুনর্গঠিত হওয়ার সুযোগ পাবে।
বিরতিতে কী ঘটবে সেই বিষয়ে আলজাজিরার প্রতিনিধি কিম্বার্লি হ্যালকেট ওয়াশিংটন ডিসি থেকে জানান, এর মাধ্যমে হামাসের হাতে বন্দিদের সম্ভাব্য মুক্তির পথ তৈরি করার চেষ্টা করা হতে পারে। তবে কী কী শর্তে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হতে পারে তা জানা নেই। কিন্তু আমরা জানি, এই বিষয়ে কাতারে কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই মানবিক বিরতির ফলে ইসরায়েলের হামলা বন্ধের সময়কালে গাজায় ওষুধ ও খাবার প্রবেশের অনুমতি পাবে বলে জানা গেছে। এছাড়া দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে, গাজায় বসবাসরত এমন বাসিন্দারা উপত্যকা ছাড়ার সুযোগ পাবেন।
গাজায় দৈনিক দেড়শ ট্রাক পৌঁছানো এই বিরতির লক্ষ্য বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।