যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক রবিবার ইউক্রেন যুদ্ধ বিষয়ক দৈনিক হালনাগাদ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভাড়াটে সেনার দল ভাগনারের বড় একটি অংশকে “খুব সম্ভবত” রাশিয়ার ন্যাশনাল গার্ডের (রসগার্দিয়া) সঙ্গে সমন্বিত করা হয়েছে।
এই রূপান্তরিত ভাগনারকে “খুব সম্ভবত” নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রয়াত ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের ছেলে পাভেল প্রিগোজিন। উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত ইয়েভগেনি এই দলের নেতা ছিলেন। এই দুর্ঘটনার কয়েক সপ্তাহ আগে তিনি রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে এক ব্যর্থ বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ভাগনার যোদ্ধা ও চিকিৎসাকর্মীরা চেচেন স্পেশাল ফোর্সেও যোগ দিয়েছে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলছে, রাশিয়া এখন ভাগনারের কার্যক্রমের ওপর “আরও সরাসরি নিয়ন্ত্রণ” বজায় রাখছে।
এর আগে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছিল, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট দ্যমিত্রি মেদভেদেভ কিছু নথি প্রকাশ করেছেন, যা ব্রিটিশ মন্ত্রকের ভাষায়, “ইতিহাসকে অস্ত্রে পরিণত করার সমতুল্য। এগুলো প্রকাশের লক্ষ্য হচ্ছে রুশ জনগণের মধ্যে পশ্চিম বিরোধী চিন্তাধারা সৃষ্টি ও দেশটির ঠিক পশ্চিমে অবস্থিত প্রতিবেশী দেশগুলোকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা।”
শনিবার ইউক্রেন যুদ্ধ বিষয়ক দৈনিক হালনাগাদ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, পুতিন ২৪২টি নথির একটি সংকলন প্রকাশ করেছেন, যার শিরোনাম হল, “রাশিয়া ও ইউক্রেনের ঐতিহাসিক একাত্মতা”। এই নথিগুলো একাদশ থেকে বিংশ শতাব্দীর মধ্যে লেখা হয়েছে। এসব নথির মাধ্যমে পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ক্রেমলিনের বর্তমান নীতিমালার যৌক্তিকতা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন এবং এতে রয়েছে প্রেসিডেন্টের নিজস্ব “ ব্যাখ্যা সম্বলিত অভিমত”।
ব্রিটিশ মন্ত্রক মেদভেদেভের প্রকাশনা নিয়ে মন্তব্য করেছে, এটি একটি প্রবন্ধ, যেখানে তিনি রাশিয়া-পোল্যান্ডের সম্পর্কের ইতিহাসকে “তিনি যেভাবে দেখেন”, সেভাবে লিখেছেন। ব্রিটিশ মন্ত্রকের মতে তিনি পোল্যান্ডকে “আগ্রাসী, পশ্চাদমুখী, রুশফোবিক নীতি” অনুসরণের জন্য অভিযুক্ত করেন। তিনি এই প্রকাশনায় একই সঙ্গে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার হুমকিও দিয়েছেন। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।