News update
  • Tarique Rahman returns home amid rapturous reception     |     
  • Home After 17 Years: Tarique Returns to Gulshan Residence     |     
  • Tarique Calls for United Effort to Build a Safe Bangladesh     |     
  • Tarique leaves for 300 feet area from airport     |     
  • BNP top leaders welcome Tarique Rahman on homecoming     |     

জিম্মিদের নিয়ে কাতার, ইসরায়েল ও মিশরের নেতাদের সাথে বাইডেনের আলাপ

গ্রীণওয়াচ ডেক্স সংঘাত 2023-11-23, 6:01pm

image-115553-1700727003-27422f76e6feeae7137ac773c9766b4e1700740883.jpg




মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার মিশর, ইসরায়েল এবং কাতারের নেতাদের সাথে জিম্মিদের মুক্তির বিষয় নিয়ে ফোনালাপ করেছেন। হোয়াইট হাউস বলেছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে জিম্মি চুক্তি ঘোষণার পর তাদের সাথে এটি বাইডেনের প্রথম প্রকাশ্যে ফোনালাপ।

বাইডেন এবং তার সরকার চুক্তির জন্য কাতার এবং মিশরের মাধ্যমে আলোচনা করেছিল। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হলে হামাস কমপক্ষে ৫০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং ইসরায়েল বহু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।  

তিন নেতা ভিন্ন ভিন্ন শিবিরের প্রতিনিধিত্ব করেন। তবে কাতারে হামাস তাদের রাজনৈতিক কার্যালয় পরিচালনা করে এবং কাতার একটি প্রধান কূটনৈতিক মাধ্যম হিসাবে কাজ করে। ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করার অঙ্গীকার করেছে এবং কাতার ও মিশর উভয়ই ইসরায়েলের অবরোধের মধ্যে গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ সহযোগিতা করেছে এবং সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছে। 

হোয়াইট হাউস জানায়, তিন পক্ষের আলোচনা ছিল ‘হামাস কর্তৃক জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করার চুক্তি এবং এই অঞ্চলের সর্বশেষ ঘটনাবলীর সাথে সম্পর্কিত।’

বাইডেন এবং কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি ‘চুক্তিটি সম্পূণরূপে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ 

হোয়াইট হাউস জানায়, ‘তারা বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা, আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং গাজায় ফিলিস্তিনিদের মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি ও টেকসই করার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’ 

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এএফপি’কে বলেছেন, শুক্রবারের আগে ‘কোন বিরতি’ হবে না। এতে প্রত্যাশিত চুক্তির বাস্তবায়ন বিলম্বিত হবে। স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় চুক্তির বাস্তবায়ন শুরুর আশা ছিল। এ বিষয়ে বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সাথে পৃথকভাবে টেলিফোনে কথা বলেছেন।

নেতানিয়াহুর সাথে টেলিসংলাপে বাইডেন ‘প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি বাকি সমস্ত জিম্মিদের মুক্তির জন্য কাজ চালিয়ে যাবেন।’

‘প্রেসিডেন্ট লেবানিজ সীমান্তের পাশাপাশি পশ্চিম তীরে শান্তি বজায় রাখার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।’

এদিকে বাইডেন সিসিকে বলেছেন, ‘কোন অবস্থাতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা বা পশ্চিম তীর থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তর করার বা গাজার সীমানা পুননির্ধারন করার অনুমতি দেবে না’। পাশাপাশি এটি নিশ্চিত করেন যে, গাজা ‘হামাসের অভয়ারণ্য হতে পারবে না’। 

‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি তার অঙ্গীকার নিশ্চিত করেছেন এবং সেই ফলাফলের শর্ত নির্ধারণে মিশরের অপরিহার্য ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।’

ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক বিরতিহীন বিমান হামলা এবং স্থল অভিযানে গাজার বেশিরভাগ অংশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে এবং হাজার হাজার শিশুসহ ১৪,১০০ জনকে হত্যা করেছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি হবে না, হামাসকে ধ্বংস করাই তার লক্ষ্য। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।