News update
  • ‘With Science, We Can Feed the World of 9.7 Billion by 2050′     |     
  • WHO warns of severe disruptions to health services for funding cuts     |     
  • ICJ hears Sudan’s case accusing UAE of ‘complicity in genocide’     |     
  • Bombardment, deprivation and displacement continue in Gaza     |     
  • Aged and Alone: The hidden pains in old age homes     |     

ইরানে ইসরাইলি বিমান হামলা:তেল আবিব,তেহরান গুরুত্ব দিচ্ছে না

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2024-04-20, 9:37am




শুক্রবার ভোরের আগে ইরানের অভ্যন্তরে ইসরাইল যে বিমান আক্রমণ চালিয়েছে তাকে তেল আবিব ও তেহরান উভয়ই খাটো করে দেখছে এবং তাতে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে কোন পক্ষই চায় না যে পরিস্থিতি একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের আকার ধারণ করুক।

এই ঘটনা সম্পর্কে ইসরাইল সরকারি ভাবে কোন মন্তব্য করেনি।

ইরানের ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সি আইআরএনএ “একজন ইরানি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে”শুধু এটুকুই জানিয়েছে যে ইসফাহান প্রদেশের কেন্দ্রস্থলে একটি প্রধান বিমান ঘাঁটির কাছে “ বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর” আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শুক্রবার ভোরে সক্রিয় করা হয়।

এই প্রতিবেদন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদসুত্রগুলোকে উদ্ধৃত করেছে যারা এই আক্রমণের জন্য ইসরাইলের কথা উল্লেখ করেছে। তারা আরও বলেছে যে কোন ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি এবং “ ইসফাহান শহর ও প্রদেশে জীবনযাত্রা ছিল স্বাভাবিক”।

এর আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমও এই ঘটনাকে খাটো করে দেখায় এবং জানায় যে ইসফাহানে পারমাণবিক স্থাপনাগুলো নিরাপদে রয়েছে। তারা বলে তেহরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এবং মেহরাবাদ অভ্যন্তরীন বিমান বন্দরের কর্মতত্পরতা শুক্রবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। এর আগে ইসরাইলি বিমান আক্রমণের বাহ্যিক প্রতিক্রিয়ায় সকল ফ্লাইট কয়েক ঘন্টা ধরে বন্ধ ছিল।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমিরআব্দল্লাহিয়ান নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে মুসলিম দেশের কুটনীতিকদের এই আক্রমণের গুরুত্বকে কমিয়ে উল্লেখ করেন । তিনি বলেনইসরাইল “ তাদের পরাজয়ের মধ্য থেকে বিজয় অর্জন করতে চেয়েছিল কিন্তু ঐ ভূপাতিত ক্ষুদে ড্রোনগুলো কোন ক্ষতি সাধন করতে পারেনি বা কোন রকম হতাহতের ঘটনা ও ঘটেনি”।

একজন ঊর্ধ্বতন ইরানি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে এই ঘটনার জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার কোন রকম পরিকল্পনা নেই।

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে লিখেছে ইসরাইল ইরানে বিমান হামলা চালিয়েছিল। অনেকগুলো বার্তা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এটিকে ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ বলেই অভিহিত করেছে।

বিশ্বের নেতারা প্রায় সকলেই এক সঙ্গে শান্তি ও উত্তেজনা হ্রাসের আহ্বান জানানোর পর ইসরাইল ও ইরান দু দেশই খুব নীচু গলায় তাদের প্রতিক্রিয়া জানায়।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেইন দুজারিচ বলেন , জাতিসংগ প্রধান, “ আবার বলেছেন মধ্যপ্রাচ্যে পাল্টা আক্রমণ চালানোর এই বিপজ্জনক কাজ বন্ধ করার যথেষ্ট সময় হয়েছে”।

ঐ বিবৃতিতে বলা হয় “যে কোন ধরণের পাল্টাপাল্টি ব্যবস্থাকে মহাসচিব নিন্দা করছেন এবং গোটা অঞ্চল এবং এর বাইরেও এই ঘটনার ধ্বংসাত্মক পরিণতির দিকে যেতে পারে এমন ঘটনা রোধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রায়ের প্রতি আবেদন জানাচ্ছেন”।

অ্যাটলান্টিক কাউন্সিলের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক একজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক আহমেদ ফুয়াদ আল খতিব ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন নীচু গলায় ইরানের প্রতিক্রিয়া হতে পারে আরও বড় রকমের কোন সংঘাত এড়ানোর প্রচেষ্টা, যদি না তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচীকে সরাসরি লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত করা হয়।

তিনি বলেন, “এ রকম আঁচ-অনুমান রয়েছে যাতে মনে করা হয় ইসরাইলের সীমিত পাল্টা আক্রমণ ইরান মেনে নিতে পারে। তবে তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচীর উপর আক্রমণ পরিস্থিতির নাটকীয় অবনতি ঘটিয়ে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে প্রত্যক্ষ সংঘাত ঘটাতে পারে”।

মাইকেল লিপিন, প্যাটসি উইদাকুসওয়ারা , মার্গারেট বশির এবং ভয়েন অফ আমেরিকার কুর্দি ও ফারসি বিভাগ এই প্রতিবেদনে তাদের অবদান রেখেছে। ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।