News update
  • $10mn Approved for Climate Resilience in CHT: ICIMOD     |     
  • At least 143 dead in DR Congo river boat fire tragedy     |     
  • Dhaka has worst air pollution in the world Saturday morning     |     
  • Container ships to ply between Mongla and Chattogram ports     |     
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     

ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2024-04-26, 7:15am

dskjflajl-bb129bf710acb192d0e41aa630040e131714094102.jpg




ইউক্রেন গোপনে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে শুরু করেছে এবং রুশ বাহিনীর আগ্রাসন ঠেকাতে এগুলো যে কিয়েভকে যুক্তরাষ্ট্রই সরবরাহ করেছে তা নিশ্চিত করেছেন আমেরিকার কর্মকর্তারা।

এ অস্ত্র চলতি মার্চে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুমোদন করা তিনশো মিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ সহায়তার অংশ এবং এগুলো এপ্রিল মাসেই কিয়েভের হাতে পৌঁছেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী রাশিয়ার দখলীকৃত ক্রাইমিয়াতে রুশ বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে এর মধ্যে অন্তত একবার হলেও এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

মি. বাইডেন এখন ইউক্রেনের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলারের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজে স্বাক্ষর করেছেন। বিলটি ইতোমধ্যেই কংগ্রেসে পাশের পর সিনেটেও অনুমোদিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র এর আগে কিয়েভকে মধ্য পাল্লার সামরিক কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বা এটিএসিএমএস সরবরাহ করলেও মার্কিন সামরিক বাহিনীর সাথে সমন্বয়ের বিষয়ে কিছুটা উদ্বেগ থাকায় এর চেয়ে শক্তিশালী কিছু দেয়ার বিষয়ে অনিচ্ছুক ছিলো।

তবে শেষ পর্যন্ত মি. বাইডেন গত ফেব্রুয়ারিতে গোপনে দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেয়ার বিষয়ে সবুজ সংকেত দেন, যা তিনশো কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ভেদান্ত পাটেল বলেছেন, “আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে প্রেসিডেন্টের সরাসরি নির্দেশনাতেই দূরপাল্লার এটিএসিএমএস সরবরাহ করেছে।”

একই সাথে তিনি জানান যে ইউক্রেনের অনুরোধে অপারেশনাল সিকিউরিটি নিশ্চিত করার জন্যই যুক্তরাষ্ট্র সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি।

যদিও এটা এখনো পরিষ্কার নয় যে ঠিক কী পরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভকে সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশটির নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন ওয়াশিংটন এ ধরণের আরও অস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে।

“এগুলো একটা পার্থক্য বা ব্যবধান তৈরি করবে। ... এখানে কোন সহজ সমাধান নেই,” ব্যাখ্যা করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, দখলীকৃত ক্রাইমিয়াতে একটি রুশ এয়ারফিল্ডে গত সপ্তাহেই প্রথমবারের মতো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে কিয়েভ।

এছাড়া রুশ সৈন্যদের দখল করা বার্দিয়ানস্কে গত মঙ্গলবার রাতভর এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে নিউইয়র্ক টাইমস খবর দিয়েছে।

অস্ত্রের মজুদ কমে আসা এবং রুশদের কিছু অগ্রগতি অর্জনের প্রেক্ষাপটে গত কয়েক মাস ধরে কিয়েভ পশ্চিমা সহায়তা বাড়ানোর জন্য আহবান জানিয়ে আসছিলো।

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের বিরোধিতার কারণে কয়েক মাসের অচলাবস্থা শেষে কিয়েভের জন্য নতুন সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ যুক্তরাষ্ট্র অনুমোদনের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, “প্রায় দেড় বছরের বিতর্ক ও সন্দেহের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে এখন আমরা সবকিছুই করবো।”

“রাশিয়ার দখলদাররা এ সময়ের মধ্যে যাই করুক না কেন, পুতিন যা-ই পরিকল্পনা করুক না কেন, আমাদের অবশ্যই তাদের রুখে দিতে হবে।”

মি. জেলেনস্কি সম্প্রতি সতর্ক করে বলেছেন যে, সামনের সপ্তাহগুলোতে আবারো রাশিয়ার আক্রমণ হতে পারে। এর আগে গত শীতে ইউক্রেন রাশিয়ার কাছে তাদের আভডিভকা শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।

ইউক্রেনের সেনারা অস্ত্রের স্বল্পতা এবং আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেমের সংকটে ভুগেছে গত কয়েক মাস ধরে। কর্মকর্তারা প্রাণ ও ভূখণ্ড হারানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের বিলম্বকে দায়ী করে আসছিলেন।

মি. সুলিভান বুধবার বলেছেন, আগামী সপ্তাহগুলোতে রাশিয়া অতিরিক্ত কৌশলগত সুবিধা অর্জনে সফল হতে পারতো।

দুই বছরআগে ২০২২ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায়। উভয় পক্ষে লাখো মানুষ যাদের বেশিরভাগই সৈনিক হয় নিহত হয়েছে বা আহত হয়েছে। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নতুন করে ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানের জন্য অনুমোদন করা ৯৫ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ সহায়তা বিলে স্বাক্ষর করেছেন।

“এটা আমেরিকাকে নিরাপদ করবে, এটা বিশ্বকে নিরাপদ করবে,” বিলে স্বাক্ষরের পর বলেছেন মি. বাইডেন। তার স্বাক্ষরের পর এটি আইনে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলছেন যুক্তরাষ্ট্র এখনই নতুন অস্ত্র ও উপকরণ পাঠিয়ে রাশিয়ান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিয়েভকে সহায়তা করবে।

সিনেটে ওই বিলটি অনুমোদনের একদিন পরে তিনি একথা বলেন। বিলে কিয়েভের জন্য ৬৫ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তার প্রস্তাব করা হয়েছে।

সিনেটে ডেমোক্র্যাট দলীয় নেতা চাক শুমার বলেছেন, “ছয় মাসের কঠোর পরিশ্রমের পর অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আমেরিকা বিশ্বকে এই বার্তাই দিয়েছে যে - আমরা তোমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবো না।”

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এটি গণতন্ত্রের রক্ষক ও মুক্ত বিশ্বের নেতা হিসেবে আমেরিকার ভূমিকাকে জোরদার করবে।

গত সপ্তাহে কংগ্রেস কিছু বিরোধিতার মুখেও ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলীয় সদস্যদের একটি অংশ সামরিক সহায়তা প্যাকেজটির অনুমোদন দেয়, যা নিয়ে অনেকদিন ধরেই অচলাবস্থা চলছিলো। বিবিসি বাংলা