News update
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     
  • Sudan war becomes more deadly: Ethnically motivated attacks up     |     
  • Dhaka's RMG exports reach $38.48 bn in 2024: New markets up     |     
  • Bangladesh’s GDP Growth to Decline to 4.1% in FY25: WB     |     

ইজতেমা মাঠে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৪ নিহত, ৪০ আহত

গ্রীনওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2024-12-18, 8:18pm

images13-905d5abd1c69deca59f00a6554700b2c1734531553.jpg




বুধবার ভোরে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মঞ্চে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহত এবং ৪০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষটি ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হয়।


নিহতদের মধ্যে কিশোরগঞ্জের আমিরুল ইসলাম বাচ্চু (৭০), ফরিদপুরের বিলাল হোসেন (৬০) এবং বগুরার তাজুল ইসলাম (৭০) রয়েছেন। চতুর্থ নিহতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নাজমুল Karim Khan জানান, রাত ৩টার দিকে মাওলানা সাদ-এর অনুসারীরা ইজতেমা মাঠে প্রবেশের চেষ্টা করলে মাওলানা যুবায়েরের অনুসারীরা তাদের প্রতিরোধ করে। এর ফলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়, যার ফলে চারজন নিহত এবং ৪০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ৩৫ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, এবং সাতজনকে ভর্তি করা হয়েছে।

গৃহমন্ত্রী পরামর্শক লে. জেন. (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন, সহিংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, সরকার দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য কাজ করছে এবং আহতদের চিকিৎসায় সহায়তা দিচ্ছে।

সরকার বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব যুবায়ের অনুসারীদের জন্য ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব সাদ অনুসারীদের জন্য ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছে। তবে, এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা সংঘর্ষের পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, যেখানে চারটি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ওই এলাকাসহ আশপাশে সব ধরনের সমাবেশ, মিছিল ও আন্দোলন নিষিদ্ধ করেছে।

মাওলানা মামুনুল হক, যুবায়ের গ্রুপের এক নেতা, সাদ অনুসারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলছেন, সাদ অনুসারীরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি এই সহিংসতার ঘটনায় মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন।

মুফতি আমিনুল হক, যুবায়ের দলের মুখপাত্র, সাদ অনুসারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন যে, ভবিষ্যতে কোনো সাদ অনুসারী কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ করতে পারবে না।

উত্তেজনা আরও বাড়ার প্রেক্ষাপটে, দুই পক্ষই ইজতেমা মঞ্চ সাময়িকভাবে খালি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে আরও সংঘর্ষ এড়ানো যায় এবং শান্তি বজায় রাখা সম্ভব হয়।