ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি স্থগিত করেছে হামাস।
হামাসের সামরিক শাখার একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শনিবার তিন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল, যার বিনিময়ে ইসরায়েলে আটক কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এই সিদ্ধান্তকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির ‘সম্পূর্ণ লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, শনিবারের মধ্যে ‘সব’ বন্দি মুক্তি না দিলে যুদ্ধবিরতি বাতিল করা উচিত।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘শনিবার ১২টার মধ্যে সব বন্দিদের মুক্তি দেওয়া উচিত। একেকজন করে নয়, একবারে সব বন্দি ফিরিয়ে দিতে হবে।’
ট্রাম্প আরও যোগ করেন, ‘যদি বন্দিরা মুক্তি না পায়, তাহলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে।’
অপরদিকে হামাসের মুখপাত্র আবু ওবাইদা অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েল গাজার উত্তরে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ফেরার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করছে, তাদের ওপর গুলি চালাচ্ছে এবং চুক্তি অনুযায়ী মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দিচ্ছে না।
তবে, হামাস বলেছে, ‘যদি ইসরায়েল তাদের প্রতিশ্রুতি মেনে চলে, তাহলে বন্দি বিনিময় চুক্তি শনিবারই হতে পারে।’
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘৭ অক্টোবরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না।’
১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে হামাস ১৬ ইসরায়েলি ও পাঁচ থাই বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে, বিনিময়ে ইসরায়েল ৫৬৬ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দিয়েছে।
আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে আরও ৩৩ ইসরায়েলি বন্দি এবং এক হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে, তবে ইসরায়েল বলেছে, এদের মধ্যে আটজন ইতোমধ্যে মারা গেছেন।
জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক বলেছেন, যেকোনো ধরনের বিলম্ব যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে এবং সব পক্ষকে চুক্তির শর্ত মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।