News update
  • Fakhrul condemns attacks on media, calls for unity, justice     |     
  • 2 cops among 4 hurt in clash outside Indian Assit H.C. in Ctg     |     
  • Inqilab Moncho urges people to avoid violence     |     
  • Hadi’s death: Prothom Alo, Daily Star offices set afire      |     
  • সন্ধ্যায় পৌঁছাবে হাদির মরদেহ, জানাজা শনিবার      |     

ওপার থেকে গুলি চললে এপার থেকে গোলা চলবে: মোদি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2025-05-12, 11:57am

img_20250512_115202-92f829a89c22e8a38c1ace9346103b4a1747029472.jpg




জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে টানা ১৯ দিন উত্তেজনা, সংঘাত ও সহিংসতা চলার পর অবশেষে গত শনিবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। কিন্তু, চিরবৈরী দেশ দুটির ‘ডগফাইট’ এখনও চলছেই। হামলার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তো আছেই; চলছে পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকিও।

সবশেষ পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ যেকোনো হামলার ব্যাপারে নিজ দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া আরও জোরালোভাবে দেওয়ার নির্দেশ পেয়েছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী।  

রোববার (১১ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতের সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, মোদি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ওহা সে গোলি চলেগি, ইহা সে গোলা চলেগা। অর্থাৎ, ওদিক থেকে যদি গুলি চালানো হয়, তবে এখান থেকে গোলা ছোড়া হবে।

মোদির এ নির্দেশনাকে একটি মোড় ঘোরানো সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেছে ভারতীয় সূত্রগুলো, বিশেষ করে ভারতের বিমানঘাঁটিতে পাকিস্তানের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে।

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। পরোক্ষভাবে পাকিস্তান এ হামলায় জড়িত, এমন অভিযোগ তুলে বুধবার দেশটির সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে ভারত। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় দেশটি। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। স্থগিত করে দেওয়া হয় ভারতের সঙ্গে সবরকম বাণিজ্যও।

এরপর থেকে দুদেশের পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকিতে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করে পরিস্থিতি, গত কয়েকদিনে রীতিমতো যুদ্ধের রূপ ধারণ করে যা। 

এমন পরিস্থিতিতে চিরবৈরী দুদেশের মধ্যকার উত্তেজনা থামাতে এগিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র। টানা ৪৮ ঘণ্টা আলোচনার পর গত শনিবার (১০ মে) দুদেশকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে সক্ষম হয় দেশটি। ওইদিন সন্ধ্যায় প্রথম এ যুদ্ধবিরতির খবর নিশ্চিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেন, দুপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর আমি খুব উৎফুল্লতার সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।  

একই বার্তা আসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর পক্ষ থেকেও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর এক পোস্টে রুবিও জানান, গত ৪৮ ঘণ্টায় তিনি এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ভারত ও পাকিস্তান তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে এবং একটি নিরপেক্ষ স্থানে বিস্তারিত বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে।

যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্ততাকারী যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বার্তা আসার কিছুক্ষণ পরই এ বিষয়ে বক্তব্য দেয় ভারত ও পাকিস্তান। বিস্তারিত আলোচনায় বসার ব্যাপারে আশ্বাস দেয় দুপক্ষই।  

তবে ভারতের সরকারি সূত্র এখন বলছে, ‘অপারেশন সিন্দুর’ এখনো শেষ হয়নি এবং ‘সন্ত্রাসবাদের’ মোকাবিলায় ভারতের প্রতিক্রিয়া এখন থেকে এক নতুন দৃষ্টান্ত গড়বে।

এছাড়া কাশ্মির ইস্যুতে ভারতের অবস্থানও স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ইস্যুতে কোনও মধ্যস্থতা ভারত মেনে নেবে না। এই বিষয়ে একমাত্র আলোচনা হতে পারে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকা কাশ্মীরি এলাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে।

ভারতের সরকারি সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা নয়—শুধু দুই দেশের সেনাবাহিনীর ডিজিএমও পর্যায়ে যোগাযোগ চলবে। তাদের ভাষায়, এই মুহূর্তে আলোচনার আর কোনও বিষয় নেই।