ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে তাদের সামরিক অভিযান ‘যতদিন প্রয়োজন’ ততদিন চলবে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এই হামলার খবর তেহরানের বিরুদ্ধে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। খবর আল-জাজিরার।
ইরানের রাজধানীতে আবাসিক ভবনগুলোতে হামলার খবর প্রকাশের পর ইরানি কর্তৃপক্ষ তেহরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠা–নামা বন্ধ করেছে।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলায় ‘জড়িত নয়’। তিনি ইরানকে এই অঞ্চলে আমেরিকান ঘাঁটিতে যেকোনো হামলার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ওয়াশিংটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করার পরপরই ইরানে এই হামলা চালানো হয়েছে।
উল্লেখ, ইরানের রাজধানী তেহরানে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দিনগত রাতের শেষভাগে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
হামলা চালানোর পর ইসরায়েলজুড়ে ‘বিশেষ জরুরি অবস্থা’ জারি করেছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার। হামলার কথা স্বীকার করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ বলেছেন, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ইরানে ‘আগাম প্রতিরোধমূলক’ হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে ইসরায়েল রাষ্ট্র ও এর বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোন হামলার আশঙ্কা থেকে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় আগাম প্রতিরোধমূলক হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই অভিযানের লক্ষ্য ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক সক্ষমতা। যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, তেহরানের উত্তর–পূর্বাঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে প্রাথমিকভাবে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি।