ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ৯ দিনে গড়িয়েছে। এ সময়ে উভয় পক্ষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে দখলদারদের হামলায় ইরানের শতশত মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে শনিবার (২১ জুন) বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, গত ১৩ জুন ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইরানে অন্তত ৪৩০ জন নিহত এবং তিন হাজার ৫০০ জন আহত হয়েছে।
যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস নিউজ এজেন্সির মতে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানে ৬৩৯ জন নিহত হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েল জানিয়েছে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানে ২৫ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে একজন হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। আর আহত হয়েছেন দুই হাজার ৫১৭ জন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।
হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ ও ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে শুক্রবার রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। এতে হতাহত কম হলেও ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। ইরানের হামলার ভয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ইহুদিবাদীরা। দুই দেশের মধ্যে সংঘাত এখনও চলমান রয়েছে।