News update
  • Cox’s Bazar Airport Upgraded to International Status     |     
  • With $80 per capita Bangladesh is getting trappeded in climate debt     |     
  • Dhaka’s air recorded ‘unhealthy’ Monday morning     |     
  • CA Urges IFAD to Launch Social Business Fund for Agri Youth     |     
  • OIC Condoles the Passing of Members of the Amiri Diwan     |     

সব জিম্মিকে ফিরে পেল ইসরায়েল, মুক্তির অপেক্ষায় ফিলিস্তিনিরা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2025-10-13, 4:31pm

retewrwerew-fc811554c87fe89da1811cd40c75a59a1760351465.jpg




দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ফিলিস্তিনের গাজায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী, এরই মধ্যে নিজেদের হাতে জিম্মি ২০ জন ইসরায়েলির সবাইকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। চুক্তির অংশ হিসেবে এবার ইসরায়েলি কারাগার থেকে প্রায় দুই হাজার বন্দির মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার গাজায় রেড ক্রসের প্রতিনিধিদের কাছে জীবিত ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মির সবাইকে হস্তান্তর করেছে হামাস।

এর মধ্যে প্রথম দফায় ৭ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি। তাদের নাম এইতান মর, গালি বারম্যান, জিভ বারম্যান, ওমরি মিরান, আলন ওহেল, গাই গিলবোয়া-ডালাল এবং মাটান আংরেস্ট বলে জানা গেছে। তাদের সবাইকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি)। উভয় পক্ষের বন্দিদের মুক্তি তদারকির কাজ করছে সংস্থাটি। 

এবার দ্বিতীয় দফায় দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে ১৩ জন জিম্মির দ্বিতীয় দলকে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে রেড ক্রস।

ইসরায়েলি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেল আবিবে জিম্মি পরিবারগুলোকে সমর্থন করার জন্য জড়ো হওয়া বিশাল জনতা আনন্দে ফেটে পড়েছে জিম্মিদের মুক্তির খবরে।

এখন চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েলি কারাগার থেকে প্রায় দুই হাজার বন্দির মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা। 

আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জেরুজালেম থেকে বিবিসির সংবাদদাতা টম বেনেট জানিয়েছেন, ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি এবং গাজা থেকে আটক ১ হাজার ৭০০ জনকে মুক্তি দেওয়ার আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২২ জন শিশুও রয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি উপলক্ষে স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প এবং বড় মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পসহ ইসরায়েল সফরে গিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে বিমান অবতরণের পর ট্রাম্প ও তার স্ত্রী-কন্যাকে স্বাগত জানিয়েছেন স্বয়ং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। পাশাপাশি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারী মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফও তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

ইসরায়েলের প্রধামন্ত্রীর দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আজ ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে বক্তব্য দেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেইসঙ্গে জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও মত বিনিময় করবেন তিনি। পাশাপাশি ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও সেখানে আটক জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য তাকে দেওয়া হবে ইসরায়েলের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব অনার’।

ইসরায়েল সফর শেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য মিশরের শার্ম আল-শেখে যাওয়ার কথাও রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।

আরটিভি