News update
  • Janaza of six Bangladeshi peacekeepers held at Dhaka Cantonment     |     
  • Bangladesh stock market loses Tk 10,500cr in a week     |     
  • Dhaka’s air turns ‘very unhealthy’ on Sunday morning     |     
  • Project to transform N’ganj into a climate-resilient green city     |     
  • Sustainable, rights-based solutions to Rohingya crisis urged     |     

মৃত্যুর দিনেই শিল্পকলা পদকের ফরম পূরণ করেছিলেন সাদি মহম্মদ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সেলিব্রিটি 2024-03-17, 5:08pm

juy8o-e6cad296689c8245f95eb8f5bff186fd1710673852.jpg




রবীন্দ্রসংগীতের বরেণ্য শিল্পী সাদি মহম্মদ অনেকটা অভিমান করেই গেল বুধবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পদকপ্রাপ্ত শিল্পীর ফরম। যেখানে দেখা যায়, নিজের ছবি যুক্ত এই ফরম পূরণ করেছেন সাদি মহম্মদ। করেছেন স্বাক্ষরও। যেখানে তারিখটাও লিখা ১৩ মার্চ! তার মৃত্যুদিনে!

শিল্পীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার পরই ফরমটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। আসতে থাকে নানা ধরনের প্রশ্নও। তাহলে কি ফরমটি ফিলআপের আক্ষেপই সাদির শিল্পসত্তাকে আরও ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল? নাকি পদকের জন্য শেষ অবধি ফরম পূরণে বাধ্য হয়েছিলেন এই কীর্তিমান? আবার অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে ফরমের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হয় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে। তারা নিশ্চিত করেছে এটি শিল্পকলার একাডেমি থেকে প্রেরিত ফরম।

একাডেমির ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ বলেন, শিল্পকলা পদকের জন্য দুটি নিয়ম আছে। একটি হলো, কেউ নিজেই এটির জন্য আবেদন করবেন। অন্যটি, মূল্যায়ন কমিটি খুঁজে বের করেন। এই কমিটি স্বপ্রণোদিত হয়ে গুণী শিল্পীর জন্য আবেদন করে থাকে। প্রয়াত সাদি মহম্মদ কখনই নিজ থেকে আমাদের পদকের জন্য আবেদন করেননি। শিল্পকলার তরফ থেকে তার নামটি প্রস্তাব করা হয় গত বছর। মূল্যায়ন শেষে চলতি বছর জানুয়ারিতে পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। যেখানে ওনার নামটি রাখা হয়। তার মৃত্যুর আগেই তাকে এ পদকে ভূষিত করা হয়েছিল।

জানা যায়, যায়, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি শিল্পকলা একাডেমি ২০২১ ও ২০২২ সালের পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে। সেই তালিকায় ছিলেন সাদি মহম্মদ। নাম ঘোষণার আগে একাডেমি থেকে সাদি মহম্মদকে বিষয়টি জানানো হয় এবং অনুমতিও নেওয়া হয়। তবে সাদি বিষয়টিতে বাড়তি আগ্রহ দেখাননি।

হাসান মাহমুদ আরও বলেন, পদক প্রদান অনুষ্ঠানে ওনার শর্ট বায়োগ্রাফি দেখানো হবে। এ কারণে আনুষ্ঠানিকতার জন্য ওনাকে ফরমটি পাঠানো হয়েছিল। উনি বেশ কিছু দিন সময় নেওয়ার পর ১৩ মার্চ পূরণকৃত ফরমটি অফিস টাইমে লোক মারফত পাঠিয়েছিলেন শিল্পকলায়।

পদক প্রদান অনুষ্ঠানের প্রকাশনা ও বায়োগ্রাফি নির্মাণের দায়িত্বে আছেন শিল্পকলার গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগ। এর পরিচালক অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি।

তিনি বলেন, সাদি মহম্মদ স্যারের মৃত্যুর খবর যখন জানতে পারি ঠিক তখনই আমি ডিজি অফিস থেকে ফরমটির সফট কপিটি পাই। পরদিন হার্ড কপিটি হাতে আসে। সেই মুহূর্তটির কথা আমি এখনও ভুলতে পারছি না। শর্ট বায়োগ্রাফি তৈরির জন্য একটা ফর্ম আমরা পদকপ্রাপ্তদের চিঠির সঙ্গে দেই। সাদি মহম্মদকেও পাঠিয়েছিলাম। তখন তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমাকে কেন পদক দিচ্ছে শিল্পকলা?” আরো বলেন “কেন এই ফর্ম, এসব কী দরকার?” অভিমান নিয়ে একটা সময় তিনি বলেন, ফর্ম পূরণ করবেন না। কিন্তু মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তার দায়িত্বটা তিনি পালন করে গেছেন। ফরমটি আমাদের পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।

জ্যোতি মনে করেন, অনেকে শিল্পকলার এই ফরম জড়িয়ে নানা নেতিবাচক মন্তব্য করে যাচ্ছেন, তা আসলে সঠিক নয়। একাডেমির জন্য আক্ষেপের বিষয়, সবকিছু প্রস্তুত করেও পদকটি গুণী শিল্পীর হাতে তুলে দিতে পারছে না।