News update
  • 3 killed, 10 injured in Pabna Bus-truck collision     |     
  • UN Chief Appalled as Gaza Crisis Deepens, Aid Blocked     |     
  • Dhaka’s air quality ‘moderate’ also on Friday morning     |     
  • Russia 1st country to recognize Taliban rule in Afghanistan     |     
  • New report seeks reforms for free, pluralistic media in BD     |     

কাওয়ালির উৎপত্তি কীভাবে?

বিবিসি বাংলা সেলিব্রিটি 2024-09-27, 7:06pm

reyreyertyer-0251c00c15ee9885731b30c654a27b291727442366.jpg




কাওয়ালি হলো প্রাচ্যের সংগীতের একটি প্রাচীন ধারা। দক্ষিণ এশিয়ায় উদ্ভব হওয়া এক প্রকার সুফি ইসলামী আধ্যাত্মিক প্রেম বিষয়ক ভক্তিমূলক গান।

ভারত ও পাকিস্তানে ১৩ শতকে কাওয়ালির আবির্ভাব ঘটে। মূলত সুফি-সাধকরা ঈশ্বরের প্রেমে মশগুল হয়ে এই গান করেন।

ইসলামী সুফিবাদের অনুসারীরা পুঁথিগত বিদ্যার উপর নির্ভর না করে গুরুর থেকে শিক্ষা গ্রহণে বিশ্বাসী।

সুফি ইসলামী আখ্যানের উপর ভিত্তি করে রচিত এই গানগুলো শুরুতে পাঞ্জাবের আশেপাশের সুফি মাজারগুলিতে একটি আধ্যাত্মিক সংগীত হিসেবে পরিবেশন করা হতো।

পরে নুসরাত ফতেহ আলী খান এবং সাবরি ব্রাদার্সের মতো বড় নাম কাওয়ালিকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ এবং বাণিজ্যিক রূপ দেয়।

কাওয়ালি ফার্সি, উর্দু, হিন্দিসহ আরো নানা স্থানীয় ভাষায় রচিত হতো। বাংলা ভাষায়ও কাওয়ালি গান রচিত হয়েছে।

কবি কাজী নজরুল ইসলামের হাত ধরেই বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় এই সংগীতের এই ধারাটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

ধারণা করা হয় উর্দু ‘কওল’ থেকে কাওয়ালি শব্দটির উৎপত্তি। কওল-এর আভিধানিক অর্থ হলো বলা। এখানে নবী রাসুল সম্পর্কিত কথা বলাকেই নির্দেশ করা হয়েছে।

কাওয়ালদের উত্থান

প্রত্যেক কাওয়াল প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে দরগা ও খানকাহের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তারা ওরসে যায়, প্রতি মাসে সেখানে পরিবেশনা করতে হয়।

সব জনপ্রিয় কাওয়ালদের উত্থান হয়েছে এমন দরগা ও খানকাহ থেকেই।

পাকিস্তানের বিশ্বখ্যাত কাওয়ালি শিল্পী নুসরাত ফতেহ আলী খানের পরিবার গত ৮০০ বছর ধরে বাবা ফরিদ উদ্দিন গঞ্জে শকরের মাজারের সাথে যুক্ত।

বলতে গেলে প্রতিটি উদীয়মান কাওয়ালের সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করার আগে মাজারে গান করা এক প্রকার বাধ্যতামূলক।

দ্বাদশ শতাব্দীর সুফি সাধক বাবা ফরিদ উদ্দিন গঞ্জ শকরের সমাধিতে তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রতি বছর হাজার হাজার ভক্ত ভিড় জমায়।

নুসরাত ফতেহ আলী খানের ভাগ্নে, ওস্তাদ মাহবুব ফরিদ আকরাম খান মাজারে কাওয়ালি পরিবেশনা করতে গিয়ে বিবিসিকে বলেন, “আমরা এখানে পারফর্ম করে বড় হয়েছি, এখনো নতুন সংগীত রচনা বা নতুন কিছু করার আগে আমরা এই সাধকের অনুমোদন নেই। বাবা ফরিদ সেই যোগসূত্র যা আমাদের সবাইকে আবদ্ধ করে।”

কাওয়ালির গুরুত্বপূর্ণ নামগুলোর শুরুতেই নুসরাত ফতেহ আলী খানের নাম আসবে এতে কোন বিতর্ক নেই।

জনপ্রিয় কাওয়াল

কাওয়ালির গুরুত্বপূর্ণ নামগুলোর শুরুতেই নুসরাত ফতেহ আলী খানের নাম আসবে এতে কোনো বিতর্ক নেই।

তবে সাবরি ব্রাদার্সও কাওয়ালি সংগীত শিল্পের একটি বড় মুখ। ১৯৫৬ থেকে টানা ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে একাধারে কাওয়ালি গান পরিবেশন করে আসছে তারা। ৫৩টি অ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছে তাদের।

এই কাওয়ালি দলের অন্যতম সদস্য আমজাদ ফরিদ সাবরি ছিলেন পাকিস্তানের সবচেয়ে প্রশংসিত তারকা কাওয়ালি সংগীতশিল্পীদের একজন। দুঃখজনকভাবে, তাকে করাচীতে গুলি করে হত্যা করা হয়।

নুসরাত ফতেহ আলী খানের উত্তরাধিকার তার ভাগ্নে রাহাত ফতেহ আলী খান, বর্তমানে কাওয়ালি সংগীতের অন্যতম বড় নাম। তিনি সাত বছর বয়স থেকে তার চাচার কাছে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন এবং তার কর্মজীবনে অনেক বলিউড এবং হলিউড চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছেন।

নুরান সিস্টারস (জ্যোতি এবং সুলতানা) এই ঘরানার দুইজন পরিচিত নারী কাওয়ালি তারকা।

বিখ্যাত সুফি গায়ক আমীর খসরুকে এই ধারার সংগীতের প্রবর্তক বলা হয়। তিনি ছিলেন নিজামুদ্দিন আউলিয়ার শিষ্য।

কাওয়ালি কেন ভিন্ন

কাওয়ালি সংগীত হলো সুফি সাধকদের বাণী। আধ্যাত্মিক গানগুলো অনেকটা ঈশ্বরের সাথে কথোপকথনের মতো হয়। গানের কথাগুলো নানা বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে বাজানো হয়।

সাধারণত, কাওয়ালির একটি পারফরম্যান্সে প্রচুর মানুষ যুক্ত থাকে। সেখানে আট বা নয়জন হারমোনিয়াম, তবলা, ঢোলকসহ অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রে বাজান।

কাওয়ালির এই আসর মাহফিল-ই-সামা নামে পরিচিত। মূলত দক্ষিণ এশিয়ার সুফি মাজার বা দরগাহে কাওয়ালি পরিবেশিত হয়।

একটা সময় ছিল যখন নারীদের কাওয়ালি সংগীত পরিবেশন করা নিষিদ্ধ ছিল, কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি বদলেছে।

নিজামুদ্দিন আউলিয়ার সময় বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার এবং নারী ও শিশুদের অংশগ্রহণ নিষেধ ছিল। পরে তার শিষ্য আমীর খসরু কাওয়ালি গানের সংস্কার করেন এবং একে একটি প্রথাবদ্ধ রূপ দেন।

এ গানে স্থায়ী ও অন্তরার মধ্যে তাল বন্ধ রেখে প্রতিবার বিভিন্ন প্রকার স্বরবিন্যাস বা রাগের সমাবেশ করা হয়।

আসরে একজন প্রধান কণ্ঠশিল্পী থাকেন। আশেপাশে থাকেন বেশ কয়েকজন পার্শ্ব গায়ক। মূল গায়কের পাশাপাশি অন্যরা পালাক্রমে বিভিন্ন সুরে বুনন করেন।

যার মধ্যে কিছু সুর তাৎক্ষণিক রচনা করা হয়। প্রধান গানটির দীর্ঘ ভূমিকা থাকে। একই শব্দ বা বাক্য পুনরাবৃত্ত করা হয়। এরপর পার্শ্ব গায়ক সবাই যোগ দেয়। একে অপরের সাথে তাল মিলিয়ে গায়।

তালযন্ত্র হিসেবে এতে ঢোলক ব্যবহৃত হয় এবং সমবেতভাবে হাততালি দিয়ে তাল রক্ষা করা হয়, গানটি ক্রমেই এগিয়ে যেতে থাকে এবং আকস্মিকভাবে শেষ হয়ে যায়।

কাওয়ালি গান কীভাবে এবং কতোটা এগিয়ে নেয়া হচ্ছে সেটার ওপর এর প্রভাব নির্ভর করে।

তাই কাওয়ালি গানগুলো সাধারণত ছোট হয় না। একেকটি গানের ব্যাপ্তি ১৫ মিনিট এমনকি ৩০ মিনিট পর্যন্ত হতে পারে।

এর মধ্যে জনপ্রিয় কাওয়ালি গান- আজিজ মিয়া কাওয়ালের ‘হাশর কে রোজ ইয়ে পুছুঙ্গা’- প্রায় দুই ঘণ্টা দীর্ঘ!

বিশ্বখ্যাত কাওয়াল ফরিদ আয়াজ আল হুসাইনি দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে কাওয়ালিকে সংজ্ঞায়িত করতে গিয়ে বলেছেন, কাওয়ালি হলো সুর, রাগিণী, গজল, প্রবন্ধ, কবিতা, শৈলী, আধ্যাত্মিকতা।

সহজভাবে বললে কাওয়ালি একটি গাছের মতো যার পাতার ডগা থেকে শিকড় পর্যন্ত নানা ভাগ আছে।

কেউ পাতা নিয়ে শাস্ত্রীয় গান গাইতে পারেন, কেউ ফুল নিয়ে গজল গান আবার কেউ ডাল তুলে গীত গাইতে পারেন। সামগ্রিকভাবে কাওয়ালিতে সবকিছুই আছে।

মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ববি ফ্রিকশনের মতে, "কাওয়ালি সংগীত হলো দক্ষিণ এশিয়ার সুফি ধর্মীয় ঐতিহ্যের বহিঃপ্রকাশ। এর শক্তিশালী কাব্য, সম্মোহিত ছন্দ ও সুর একাধারে ঈশ্বর, প্রেম এবং সংগীতকে এক হিসাবে উদযাপন করেছে।"

কাওয়ালিতে আধুনিকতা

আজ থেকে ৭০০ বছর আগে কাওয়ালিতে হামদ, নাথ, মানকাবাদ এবং গজলও উপস্থাপন করা হতো।

তবে এই গান মূলধারায় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনপ্রিয়তা অর্জন করে বিংশ শতকে এসে।

আজিজ মিয়া কাওয়াল, নুসরাত ফতেহ আলী খান এবং সাবরি ব্রাদার্সের মতো বিশ্বখ্যাত কাওয়াল শিল্পীরা দরগাহ থেকেই তাদের যাত্রা শুরু করেছিলেন। পরে তারা পাশ্চাত্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।

এই কাওয়ালদের কারণে কাওয়ালি প্রতিটি মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে যায় এবং বাণিজ্যিক মর্যাদাও পায়।

নুসরাত ফতেহ আলী খান ১৯৮৮ সালে পিটার গ্যাব্রিয়েলের দ্য লাস্ট টেম্পটেশন অফ ক্রাইস্ট সাউন্ডট্র্যাকে কণ্ঠ দেন এবং রিয়েল ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ছয়টি অ্যালবাম প্রকাশ করেন।

তিনি তার কর্মজীবনে আরও শত শত রেকর্ড প্রকাশ করেছেন (যদিও কিছু রেকর্ড বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি পায়নি)।

নব্বই দশকের গোড়ার দিকে পিটার গ্যাব্রিয়েলের রিয়েল ওয়ার্ল্ড রেকর্ড যুক্তরাজ্যের ডব্লিউওএমএডি (WOMAD) উৎসবে কাওয়ালি সংগীতশিল্পীদের বিশ্ব মঞ্চে আসার সুযোগ করে দেয়।

পাকিস্তানের প্রখ্যাত কাওয়াল আজিজ মিয়ার ছেলে ইমরান মিয়া কাওয়ালের মতে, কাওয়ালিকে জনপ্রিয় করতে দরগা, খানকাহ ও খাওয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এতে সাধারণ মানুষের চিন্তা চেতনার রঙ দিতে হবে।

মাহফিল-ই-সামাকে হাজার বছরের ঐতিহ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সুফি এবং সিনিয়র ধর্মগুরুগণ জিকির আজকারের সমাবেশ ডাকতেন, কিন্তু হযরত আমীর খসরু যখন এতে ঢোলক, তবলা, পাখোয়াজ, খঞ্জনি ও সেতারের মতো বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র যোগ করেন, তখন একে মাহফিল বলা হয়, এটিই কাওয়ালি।”

ইমরান মিয়া সম্প্রতি পাকিস্তানের বিখ্যাত ড্রামার অ্যালান স্মিথ এবং গিটারিস্ট জি জাহ ফজলির সাথে 'কাওয়ালস্তান' নামে একটি কাওয়াল ব্যান্ড গঠন করেছেন।

এই ব্যান্ডে, দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারার সংগীত, ঐতিহ্যবাহী কাওয়ালি এবং পাশ্চাত্য রককে একত্রিত করা হয়েছে।

নতুন যন্ত্রের সঙ্গে বাজিয়ে কাওয়ালিতে নতুনত্ব আনার ব্যাপারে বেশ দৃঢ়প্রত্যয়ী ইমরান মিয়া কাওয়াল।

তার মতে, আধুনিক পশ্চিমা বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী কাওয়ালির মিশেলের কারণেই আজ সাত বছর থেকে ৭০ বছর বয়সী মানুষ কাওয়ালি শুনছেন।

কাওয়ালি কারা শোনেন?

বিশ্বখ্যাত কাওয়াল মুন্সী রাজিউদ্দীনের ছেলে ফরিদ আয়াজের মতে, মাহফিল-ই-সামাকে যদি জাগতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়, সেখানে শিশু-বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ, বুদ্ধিজীবী ও প্রকৌশলী সব শ্রেণি-পেশা-বয়স ও লিঙ্গের মানুষ রয়েছে।

কিন্তু কাওয়ালি শ্রোতার প্রসঙ্গ এলে বলা যেতে পারে, কাওয়ালি শুনতে এবং আবৃত্তি করতে পারেন শুধুমাত্র একজন সুফি।

যখন কেউ কাওয়ালি শোনেন, তখন তিনি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, যুবক, বৃদ্ধ, নারী, পুরুষ কিছুই থাকেন না, তখন তিনি কেবলই একজন সুফি।

ফরিদ আয়াজ ও তার ভাই আবু মুহাম্মদ কাওয়ালি আমীর খসরুর ঘরানার কাওয়ালি চর্চা করেন।

আবু মুহাম্মাদ বলেন: "আমাদের পূর্বপুরুষ ছিলেন সামাত বিন ইব্রাহিম। তিনি হযরত আমীর খসরুর প্রথম শিষ্য ছিলেন। সামাত ছিলেন বোবা, কিন্তু হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়ার কৃপায় তিনি তার বাকশক্তি ফিরে পান এবং এরপর তাকে আমীর খসরু-এর কাছে পাঠানো হয়। এরপর তিনি আমীর খসরুর প্রতিষ্ঠিত কাওয়াল চৌকির প্রধান হন। তাই তাকে কাওয়াল বাকি বলা হয়।"

মুন্সী রাজিউদ্দীন এবং তার পরে তার দুই ছেলে ধ্রুপদ ঘরানার গান শুরু করেন যা তাদেরকে অন্যান্য কাওয়ালদের থেকে আলাদা করেছিল।

কাওয়ালি

ছেলেরা তাদের পিতার কাছ থেকে উত্তরাধিকার হিসেবে কী নিয়েছে- এমন প্রশ্নে ফরিদ আয়াজ বলেন, “আমার বাবা শুধু একজন উচ্চপদস্থ কাওয়াল ছিলেন না, তিনি একজন হাকিম, একজন সুফি, একজন ফকির, একজন বুদ্ধিজীবী, একজন দার্শনিক এবং ফিকাহ ও হাদিসের পণ্ডিত ছিলেন।”

“আমি তার কাছ থেকে ৪৭ বছর ধরে প্রতিদিন তালিম নিয়েছি এবং তার মতো, আমি আমার জ্ঞান কাওয়ালির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখিনি। দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, প্রজ্ঞা, হাদিস এবং অন্যান্য বিজ্ঞানের জ্ঞান অর্জন করেছি।”

“তবে এটাও ঠিক যে আমার মনে হয় আমি তার কাছ থেকে এমন অনেক কিছু শিখতে পারিনি, যা আমি শিখতে পারতাম,” যোগ করেন এই কাওয়ালি শিল্পী।

পপ মিউজিক বা অন্যান্য গানের মতো কাওয়ালি কেন এখন আর আগের মতো নেই- "এমন প্রশ্নের জবাবে দুই ভাই বলেন, পপ মিউজিকের মতো গান প্রচুর পৃষ্ঠপোষকতা পায়। দুর্ভাগ্যবশত কাওয়ালি এমন একটা ক্ষেত্র হয়ে গেছে যেদিকে মানুষের যতোটা মনোযোগ দেয়া উচিত ছিল ততোটা দেয়নি। এর মানে এই নয় যে কাওয়ালরা কমে গেছে, বাস্তবতা হলো যে বেশিরভাগই সুযোগ পাচ্ছেন না।"