News update
  • Another July warrier shot in head, critical in Khulna hospital     |     
  • NCP Khulna Chief Critically Shot Amid Rising Political Violence     |     
  • Indian MP Warns Bangladesh Faces Rising Lawlessness     |     
  • Law and Order Must Be Ensured Ahead of Polls: Prof Yunus     |     
  • Tough times ahead, everyone must remain united: Tarique Rahman     |     

দেড় বছর পর কেন মাহি বলছেন তাঁর ডিভোর্স হয়নি?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সেলিব্রিটি 2025-10-19, 10:11pm

dsfsdfsdfasda-081b2d2f10349268bd13ab79e8f855051760890285.jpg

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। ফাইল ছবি



ঢালিউডে তাঁর অধ্যায় যেন অনেক আগেই শেষ পাতা ছুঁয়েছে। পর্দার ঝলক ছেড়ে রাজনীতি আর রেস্তোরাঁর ধোঁয়া–গন্ধেই দিন কাটাচ্ছিলেন মাহিয়া মাহি। এর মাঝেই রাজনীতিক অস্থিরতায় কয়েক মাস ধরে অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু নায়িকা যে চুপচাপ নেই—তা বুঝিয়ে দিলেন হঠাৎ করেই। একদিকে বিশাল পরিকল্পনায় নতুন সিনেমার ঘোষণা, অন্যদিকে দেড় বছর পর হঠাৎ বললেন—‘ডিভোর্স হয়নি!’ 

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি দেড় বছর আগে নিজেই জানিয়েছিলেন স্বামী রাকিব সরকার–এর সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের কথা। সেই ঘোষণার পর থেকে দু’জনকে আর কখনো একসঙ্গে দেখা যায়নি। এদিকে কয়েক মাস ধরে মাহি রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে, আর রাকিবের অবস্থান নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি।

হঠাৎ করেই নিজের ফেসবুক প্রোফাইল ও পেজে স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে দুটি স্থিরচিত্র পোস্ট করেন মাহি। ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘মাশাআল্লাহ।’ এই ছবির পর আবারও আলোচনায় উঠে আসে তাঁদের সম্পর্ক।

এরপর গণমাধ্যমকে মাহি জানান, ‘আমি রাগের মাথায় ডিভোর্সের কথা বলেছিলাম। আসলে আমাদের ডিভোর্স হয়নি, নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।’ সোশ্যালে শেয়ার করা ছবিটি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘ছবিটি আমরা ভারতে তুলেছিলাম, তখন প্রকাশ করিনি। এখন উইকিপিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে আমাদের ডিভোর্স হয়েছে, তাই ভুল-বোঝাবুঝি দূর করতে ছবিটি পোস্ট করেছি। আমাদের পাসপোর্টেও লেখা আছে “ম্যারিড”, স্বামীর নাম রাকিব সরকার। আমরা ভালো আছি।’

তবে এর আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা দুজনই চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেও যখন লাভ হচ্ছে না, তখন আসলে চেষ্টাটা ছেড়ে দিয়েছি। একসঙ্গে থেকে তিক্ত হওয়ার চেয়ে বন্ধুত্বটা থাকা ভালো। ও ফারিশের বাবা এবং ওর প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে।’

দেড় বছরের ব্যবধানে ডিভোর্স নিয়ে মাহির এই দুই ভিন্ন বক্তব্যে ভক্ত–শুভাকাঙ্ক্ষীসহ বিনোদন অঙ্গনে তৈরি হয়েছে ধাঁধা। হুট করে নায়িকার এমন আচারণের নেপথ্যের কারণ খুঁজছেন অনেকেই? 

তবে সূত্রের বরাতে দেশের এক গণমাধ্যম দাবি করেছে, চিত্রনায়িকা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্ব পেতে হলে তার নায়িকা জীবন চলমান ও সমৃদ্ধ হতে হবে। একইসঙ্গে স্বামী-সন্তানের যে তথ্য রয়েছে তার পাসপোর্টে বা বায়োগ্রাফিতে, সেটির সঙ্গে উইকিপিডিয়াসহ কাগজে-কলমে-খবরের মিল থাকতে হবে। মূলত এসব কারণেই মাহিয়া মাহি এখন মরিয়া হয়ে উঠেছেন সিনেমার ঘোষণা, খবর প্রকাশ এবং পারিবারিক সম্পর্ক পুনস্থাপনের বিষয়ে।

২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। পাঁচ বছর পর সেই সম্পর্ক ভেঙে গেলে ২০২১ সালে রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন তিনি।